ঢাকা, বুধবার   ১৬ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রামে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৮:২১, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

হাইকোর্টের দেয়া রায়ের আড়াই বছর পর কর্ণফুলী নদীর দু’পাড়ে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সকাল সোয়া ১০টায় সদরঘাট পয়েন্ট থেকে এই অভিযান শুরু হয়। এসময় নদীর পাড়ে গড়ে উঠা বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়। এর ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম আরো বেগবান হবে বলে মনে করছেন বন্দর কর্মকর্তারা। এদিকে অভিযান অব্যহত রাখার ঘোষনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

২০১৬ সালের আগষ্টে কর্ণফুলী নদীর দু’পাড়ে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা ৯০দিনের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আর্থিক সংকটে আটকে থাকে উচ্ছেদ কার্যক্রম। নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর উদ্যোগ নেয়া আদালতের রায় বাস্তবায়নের। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে সদরঘাট পয়েন্ট থেকে শুরু হয় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম। এই অভিযানে  সিটি কর্পোরেশন, বন্দর কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস, র‌্যাব-পুলিশসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা যোগ দেন।

কর্ণফুলী নদীকে অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করার মধ্য দিয়ে দেশের আমদানী-রফতানী বানিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, বন্দর চ্যানেলে নাব্যতা ফিরে আনা এবং পরিবেশ রক্ষায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানান প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

কর্ণফুলী বাঁচলে চট্টগ্রাম বন্দর বাঁচবে। এর ফলে নদীর নাব্যতা যেমন বাড়বে তেমনি পণ্য খালাসও বাড়বে বলে মনে করেন বন্দর এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। কর্ণফুলীর দু’পাড় দৃষ্টিনন্দন হিসাবে গড়ে তোলার কথাও বলেন তারা।

হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কর্ণফুলীর দু’পাড়ে ২হাজার ১১২টি অবৈধ স্থাপনা চিহিৃত করেছে জেলা প্রশাসন। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছ। প্রথম পর্যায়ে সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত ২শ’টি স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি