ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামে তৃতীয় দিনেও স্বাভাবিক হয়নি গ্যাস সরবরাহ

প্রকাশিত : ১৯:৩০, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

চট্টগ্রামে গ্যাসের প্রধান লাইন কেটে যাওয়ার তিনদিন কেটে গেলেও এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি গ্যাস সরবরাহ। গ্যাস না থাকায় জ্বলছে না রান্নার চুলা। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছে নগরবাসী। সংকট চলছে সিএনজি স্টেশনগুলোতেও। গ্যাস সরবরাহ কম থাকায় বিপাকে গাড়ি চালকরাও। তবে শিগগির সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন কর্ণফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ।  

শনিবার থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে গ্যাস না থাকায় মাটির চুলায় রান্নার ব্যবস্থা করেছে কেউ কেউ। কেউ আবার রান্নার জন্য কিনে এনেছেন গ্যাস সিলিন্ডার। কেউ বা রাইস কুকারের মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রান্নার। অনেকেই আবার নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন হোটেলের খাবারে। গ্যাস সংকটের কারণে নগরীর বিভিন্ন স্থানে গত তিনদিন ধরে বাসাবাড়িতে বন্ধ রয়েছে রান্নার চুলা। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন নগরবাসী।

হালিশহর এ ব্লকের অধিবাসী মুজিবুল মাওলা রনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে তিনদিন ধরে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় বাসায় কারো রান্না হচ্ছে না। বাসায় ছেলে-মেয়েরা খাবারের জন্য কাঁদছে। খাবারের জন্য দীর্ঘ লাইন ধরতে হচ্ছে হোটেলগুলোতে। এই সুযোগে হোটেল মালিকরা খাবারের আকাশচুম্বী দাম আদায় করছে। এতো চড়া দামে খাবার কেনার সামর্থ্য সবার নেই। চারদিকে নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে। এটা আসলেই জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে হালিশহর এবং আগ্রাবাদ এলাকার মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

গ্যাসের তীব্র সংকট থাকায় সিএনজি স্টেশন, ফিলিং স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। যে দু’য়েকটা খোলা আছে সেগুলোতে দেখা গেছে গ্যাসের অপেক্ষায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।

এদিকে সংকট সমাধানে নগরীর পতেঙ্গায় খালের মাটি খোড়াখুড়িসহ ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইনের সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কর্ণফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ। সোমবারের মধ্যেই গ্যাসের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয় কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, গত শনিবার নগরীর ইপিজেড এলাকায় সিটি কর্পোরেশন খালের উপর রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের সময় গ্যাস লাইন কাটা পড়ে। ফলে হালিশহর, আগ্রাবাদ, বন্দর, জামালখান, আসকার দীঘির পাড়সহ বিভিন্ন এলাকার কয়েক লাখ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

কেআই/ এসএইচ/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি