চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী সংগঠককে সাময়িক অব্যাহতি
প্রকাশিত : ২২:৪৭, ৩১ মে ২০২৫

চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহবায়ক কমিটির সংগঠক আল ফাহাদকে সাময়িক অব্যাহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) সংগঠনের মুখ্য সংগঠক আজিম উদ্দিন সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে সংগঠক আল ফাহাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কমিটি প্রধানের কাছে আগামী সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করতে এবং কেন তাকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবেনা তার কারণ দর্শাতে আহবায়ক মাহামুদুল হাসান ও সদস্য সচিব সাকিব খান নির্দেশ প্রদান করেছেন। একইসঙ্গে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রদত্ত পূর্ববর্তী মৌখিক সতর্কতা অমান্যের প্রেক্ষিতে বগুড়া জেলা কমিটি চুড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত সংগঠনের সব দায়িত্ব ও কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহবায়ক কমিটির সংগঠক আল ফাহাদ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডহরপুর গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি তিনি উপজেলা সদরের শিবপুর গ্রামের আশিক নামে এক যুবকের জন্ম নিবন্ধনের বয়স ঠিক করে দেওয়ার নামে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন। এর আগে কোমারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলামের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
আল ফাহাদের বিভিন্ন অপকর্মের বিষয়গুলো প্রকাশ হলে আদমদীঘি উপজেলার সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কয়েকজন গত ২৯ মে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে ইউএনও নিশাত আনজুম অনন্যা বলেন, “শিক্ষার্থীদের অভিযোগের কপি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব সাকিব হাসান বলেন, “সংগঠক আল ফাহাদ আদমদীঘিতে জন্মনিবন্ধন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দ নিয়ে দেওয়ার নামে জনগণের কাছে টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তিনি চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছিল। এরপরও অভিযোগ আসায় জেলা সংগঠক পদ থেকে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”
অভিযোগ প্রসঙ্গে আল ফাহাদ বলেন, “আমি শুরু থেকে সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। সততার সাথে সব কাজে অংশগ্রহণ করছি। কোনো অপরাধ বা চাঁদাবাজির সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত না। আশিক নামে একজনের জন্ম সনদের কাজের জন্য দেড় হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল। কাজ না হওয়ায় তাকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।”
ফাহাদ দাবি করেন, তার জনপ্রিয়তায় নিজ সংগঠনের লোকজনের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। তারা তাকে হেয় করতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তিনি আগামী সাত দিনের মধ্যে সংগঠন প্রধানের কাছে যথাযথ উত্তর দেবেন বলে জানান।
এসএস//
আরও পড়ুন