চিকিৎসা যন্ত্রপাতি সচল রাখতে চালু হচ্ছে ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম
প্রকাশিত : ২০:৩৫, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
 
				
					সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি সচল রাখার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রোগীরা এক্স-রে, সিটি স্ক্যান ও এমআরআই মেশিন নষ্ট থাকার কারণে বিলম্বে নির্ণয় ও চিকিৎসা পাওয়ার অভিযোগ করে আসছিলেন। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হিসেবেই নেওয়া হয়েছে নতুন প্রকল্পটি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ইনফরমেশন অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টেম’ নামের এই প্রকল্পের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা যন্ত্রপাতি—যেমন এক্স-রে, সিটি স্ক্যান ও এমআরআই মেশিন—এর অবস্থা রিয়েল টাইমে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) প্রযুক্তি ব্যবহার করে যন্ত্রগুলোর কার্যক্ষমতা ও পরিবেশগত তথ্য কেন্দ্রীয় সার্ভারে পাঠানো হবে।
এই সিস্টেমের মাধ্যমে যন্ত্রপাতির উৎপাদনশীলতা মূল্যায়ন, দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি এবং সময়মতো রক্ষণাবেক্ষণ পরিকল্পনা করা সম্ভব হবে। ফলে ব্যয় সাশ্রয় হবে এবং রোগীরা দ্রুত সেবা পাবেন।
প্রকল্পটি যন্ত্রগুলোর বিদ্যুৎ খরচ, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও বিদ্যুতের মান পর্যবেক্ষণ করবে—যা ব্যয়বহুল চিকিৎসা যন্ত্রের স্থায়িত্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মনিটরিং ব্যবস্থার ফলে যন্ত্রপাতির অপারেশনাল সময় অন্তত ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে আরও বেশি রোগী সেবা পাবেন এবং অপ্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় কমবে।
কর্মকর্তারা জানান, “পুরো যন্ত্রপাতির মোট মূল্যের এক শতাংশেরও কম খরচে এই সিস্টেম স্থাপন করা সম্ভব, অথচ এর সুফল হবে বহুগুণ বেশি।”
প্রথম পর্যায়ে দেশের ১১৪টি সরকারি হাসপাতালে প্রায় ৩০০টি চিকিৎসা যন্ত্র এই সিস্টেমের আওতায় আনা হবে, যার কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ন্যাশনাল ইলেক্ট্রো-মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (NEMEMW & TC)—যারা বর্তমানে দেশের প্রায় ৭০০ সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা যন্ত্রপাতির রক্ষণাবেক্ষণ দেখভাল করে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু হলে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা যন্ত্র ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও স্থায়িত্ব—তিনটিই নিশ্চিত হবে।
ভবিষ্যতে এই প্রকল্পটি ধাপে ধাপে দেশের সব সরকারি হাসপাতাল ও প্রধান ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।
এমআর//
 
				        
				    






























































