ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

‘ছোট্ট শহর আলমডাঙ্গা থেকে সারাবিশ্ব দেখতে পাই’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৫, ৪ মার্চ ২০২২

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ২০১৪ সাল থেকে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা স্বয়ম্ভর পাবলিক লাইব্রেরি। এলাকার শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্করাও এ লাইব্রেরিতে আসেন বই পড়তে। জ্ঞানের খোরাক জোগাতে ছুটে আসেন লাইব্রেরিতে। প্রযুক্তির যুগেও বইয়ের মাধ্যমে মনের তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন পাঠকরা। 

স্বয়ম্ভর পাবলিক লাইব্রেরিতে বই আছে দেড় হাজারের মতো। যার প্রায় সবগুলোই নিজ উদ্যোগে সংগ্রহ করেছেন এর প্রতিষ্ঠাতা এনামুল হক। প্রতিষ্ঠাতা এনামুল হকের উদ্যোগে এলাকার অনেকের আগ্রহ বেড়েছে বই পড়ায়।

এলাকার একজন বইপ্রেমী বলেন, "আলমডাঙ্গাবাসীর আশীর্বাদ স্বরূপ এই লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গেল আট বছরে এই লাইব্রেরিটি অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে। অনেকেই হাত বাড়িয়েছে এই লাইব্রেরিকে সমৃদ্ধ করতে।" 

প্রতিদিন বিকেল হলেই পাঠকরা আসেন স্বয়ম্ভর লাইব্রেতিতে। বই পড়েন পছন্দ মতো। কখনও নিয়ে যান বাড়িতে। পড়া শেষে সপ্তাহান্তে বদলে নেন বইটি। এভাবেই চলে তৃষ্ণার্ত পাঠকের জ্ঞান আহরণ।

এখানে বই পড়তে আসা একজন জানান, "এখানে এসে বিভিন্ন বই পড়তে পারি এবং ওই বইয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে সবার সাথে আলোচনা করতে পারি।"

আরেকজন বলেন, "আমি গত দুই বছর ধরে এই লাইব্রেরিতে আসছি, এতে আমার অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। নিজেকে অনেকটাই এগিয়ে নিতে পেরেছি। এই লাইব্রেরির কারণে আমি আলমডাঙ্গার মত ছোট্ট এই শহরে থেকেই পুরো বিশ্বকে দেখতে পাই।"

লাইব্রেরিতে বইয়ের সংখ্যা আরও বাড়ানোর দাবিও জানালেন এখানকার বই প্রেমিরা। 

বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও নিজেদের সমৃদ্ধ করতে বই পড়ছে। লাইব্রেরিতে অন্তত ৬০০ পাঠক রয়েছে। যারা মনে করেন সমাজের বিত্তবানদের হাত ধরে আরো সমৃদ্ধ হবে লাইব্রেরিটি।

স্বয়ম্ভর পাবলিক লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এনামুল হক বলেন, "আমি চাই সমাজে যারা আছেন সবাই বই পড়ুক এবং বই পড়ার মাঝে যে আনন্দ আছে তা উপভোগ করুক।"

আলমডাঙ্গার তরুণরা লাইব্রেরি থেকে জ্ঞান লাভ করে আগামীর বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেবে, এমনটাই প্রত্যাশা করেন সংশ্লিষ্টরা। 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি