ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪

জনগণের ভোটেই ক্ষমতায় আসতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৪৬, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ২১:৪৬, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যেনতেনভাবে নয়, জনগণের ভোটেই আবার ক্ষমতায় আসতে চাই। আবার ক্ষমতায় এলে আমরা প্রতিটি সেক্টরে কীভাবে উন্নয়ন করব এবং দেশের অর্থনীতি কীভাবে শক্তিশালী করব এজন্য আওয়ামী লীগের একটি নীতিমালা আছে। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করাই আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য।’      

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।         

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বাংলাদেশকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশ হবে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড।    

সুইজারল্যান্ডের ব্যাখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুইজারল্যান্ডের ভৌগোলিক অবস্থানটা যদি দেখেন, তাহলে দেখবেন ইউরোপের একদিক থেকে আরেকদিকে যেতে গেলে সুইজারল্যান্ডকে ব্যবহার করতে হয়। একটা শান্তিপূর্ণ দেশ। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকেই সেভাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।     

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি কী পেলাম না পেলাম সেটা নিয়ে চিন্তা করি না। আমি চিন্তা করি বাংলাদেশের মানুষের জন্য কী করে গেলাম, কী রেখে গেলাম। কীভাবে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হয় সেদিকেই আমার লক্ষ্য। দুর্নীতি করে নিজের জীবনমান উন্নয়ন করায় আমি বিশ্বাসী নই।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘গ্রামীণ জনগণের স্বচ্ছলতা বাড়াতে চায় আওয়ামী লীগ সরকার। এ জন্য যা যা প্রয়োজন সরকার তা করবে। আমরা চাই, বাংলাদেশ হবে একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন। আমরা চাই জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক।’ নির্বাচনে যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে সে জন্য সবার সাহায্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।   

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের জন্য যে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করেছি, এখনতো আর বলতে পারবেন না যে, কেউ হাওয়া ভবন খুলে সব ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে থাবাথাবি করছে যে, কিছু করতে গেলেই ভাগ দিতে হবে। অন্তত আমরা সেটা করি না, করব না- এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে। সরকার হিসেবে দায়িত্ব ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা।’ 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এমন একটি দল যার হাতে দেশের প্রতিটি খাতের উন্নয়নের রূপরেখা রয়েছে। ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলেছিলাম, ২০ হাজার মেগাওয়াট করেছি। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি, ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১৩ কোটি মোবাইল সিম। এগুলো ব্যবসা- বাণিজ্যকে সহজ করে দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগের জন্য ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হবে, কর্মসংস্থান হবে। পাশাপাশি কৃষিকাজকে আধুনিক যান্ত্রিকীকরণ করে দেব। যাতে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা যায়, সেভাবে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। এগুলো বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সেজন্য আপনাদের কাছে সহযোগিতা চাইব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ব্যাংক, বীমা, টেলিকমিউনিকেশন কীভাবে ব্যবসা করতে পারে সে জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে আপনাদের সেবা করার আরেকবার সুযোগ দিন, আমরা উন্নয়নের কাজগুলো যেন শেষ করতে পারি। যদিও এর কোনো শেষ নেই। উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে, তবুও যে কাজগুলো হাতে নিয়েছি, তা যেন শেষ করতে পারি, এটাই আমি চাই।’   

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। অনুষ্ঠানে গত ১০ বছরে দেশের বিভন্ন সেক্টরে উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিও চিত্র উপস্থাপন করা হয়। অন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে বক্তব্য দেন- প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আনিসুর রহমান সিনহা, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, একে আজাদ, আতিকুল ইসলাম, টিপু মুন্সি, প্রকৌশলী কুতুব উদ্দিন আহমেদ, রুবানা হক, আহমেদ আকবর সোবহান, সাইফুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, আবদুল মুক্তাদির, মাইকেল পলি, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। 

এসি  
   
  


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি