ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪

‘জবি শিক্ষক রাজীব মীরকে বরখাস্ত কেন বেআইনি নয়’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৫৩, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মীর মোশারেফ হোসেনকে (রাজীব মীর) বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসাথে রুলে তার জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী বকেয়া সব বেতন-সুবিধাসহ তাকে কেন স্বপদে পুনর্বহাল করা হবে না জানতে চাওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়র উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার বরখাস্ত ওই শিক্ষকের রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

রাজীব মীরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক। সঙ্গে ছিলেন এম মঞ্জুর আলম ও মো. তায়্যিব-উল-ইসলাম সৌরভ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আলামিন সরকার।

প্রসঙ্গত, ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক রাজীব মীরকে গত বছর চাকরিচ্যুত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বরখাস্তের আদেশটি চ্যালেঞ্জ করে গত রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন সহযোগী অধ্যাপক মীর মোশারেফ হোসেন। মঙ্গলবার সেটির শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রাজীব মীরের আইনজীবী সাংবাদিকদের জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অসদাচরণ, নৈতিক স্খলন, কর্তব্যে অবহেলাসহ অপেশাদারি নানা অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের ১০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রাজীব মীরকে বরখাস্ত করে। এসব অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটি পরে যে প্রতিবেদন দেয় তার কোনো অনুলিপি রিটকারীকে সরবরাহ না করে অর্থাৎ রিটকারীকে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সাক্ষ্য-প্রমাণ সম্পর্কে না জানিয়েই তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অর্থাৎ আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ না দিয়েই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, যা বেআইনি এবং অবৈধ।

 

আর/টিকে


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি