ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য হয়েছে বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪১, ১৩ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১০:০৮, ১৪ অক্টোবর ২০১৮

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। বেশ কয়েকটি সংগঠনের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও গতকাল ভোটাভুটিতে নির্বাচিত হয় ঢাকা। আঞ্চলিক গ্রুপ থেকে কোনও ধরণের প্রতিদ্বন্দিতা ছাড়াই নতুন ১৮ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যরা গোপন ব্যালটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। কাউন্সিলে নির্বাচিত হতে প্রতিটি সদস্য দেশের কমপক্ষে ৯৭টি ভোট প্রয়োজন। এবার এশিয়া-প্যাসিফিক ক্যাটাগরিতে ভারত, বাহরাইন, ফিজি ও ফিলিপাইনের পাশাপাশি নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৩ ভোটের মধ্যে ১৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে নতুন মেয়াদের দায়িত্ব নেবে ঢাকা।

ভোটের আগের সন্ধ্যায় তিনটি মানবাধিকার গ্রুপ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ১৮টি সদস্য দেশকে নিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দেয়। ওই বিবৃতিতে এসব দেশগুলোর মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে বিশ্লেষণ হাজির করা হয়। বিবৃতিতে বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশ জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের যে প্রস্তাবের মাধ্যমে মানবাধিকার কাউন্সিল গঠিত তার মানদণ্ড পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করা হয়। ব্যর্থ হওয়া অন্য পাঁচটি দেশ হলো বাহরাইন, ক্যামেরুন, ইরিত্রিয়া, ফিলিপাইন ও সোমালিয়া। এই ক্যাটাগরিতে ভারতকে রাখা হয়েছে ‘প্রশ্নবোধক’ তালিকায়। তার সঙ্গে রয়েছে বুরকিনা ফাসো, ফিজি এবং টোগো। মানবাধিকার সংগঠন তিনটি হচ্ছে ইউএন ওয়াচ, হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন এবং রাউল ওয়ালেনবার্গ সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উল্লিখিত দেশগুলোর মানবাধিকার রেকর্ড সমস্যাগ্রস্ত। বিবৃতিতে মাত্র আটটি দেশকে কাউন্সিলের সদস্য হওয়ার যোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়। দেশগুলো হচ্ছে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রিয়া, বাহমা, বুলগেরিয়া, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, ইতালি এবং উরুগুয়ে।

বিবৃতিতে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে অযোগ্য ছয়টি দেশকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়, বিচার বহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন, বিনা বিচারে আটক, সরকারি বাহিনীর মাধ্যমে গুম এবং মতপ্রকাশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়ার কারণে বাংলাদেশকে এই অযোগ্য তালিকায় রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ নির্বাচিত হওয়ার ফলে কাউন্সিলের বিশ্বাসযোগ্যতা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৬ সালের মার্চে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মূলনীতির আলোকে পরিচালিত এই কাউন্সিলে সদস্য হওয়ার জন্য প্রতিটি অঞ্চলে সমানভাবে সদস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। বর্তমানে আফ্রিকা ও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য ১৩টি করে আসন বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া ইউরোপের দেশগুলোর জন্য ৬টি, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে ৮টি এবং পশ্চিম ইউরোপীয় ও অন্যান্য অঞ্চলের জন্য ৭টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। পাঁচটি আঞ্চলিক গ্রুপ থেকেই সদস্য হতে ইচ্ছুক দেশগুলো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাদের প্রার্থিতা দাখিল করে।

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি