জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল
প্রকাশিত : ১৬:০৬, ১ নভেম্বর ২০২৫
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই। বর্তমান সংকট অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি করেছে। মিথ্যা বলে জাতির সঙ্গে প্রতারণা না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
শনিবার (১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, “অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে একটি মহল একাত্তরকে ভুলিয়ে দিতে চায়। কিন্তু সেটি করার সুযোগ নেই। কারণ একাত্তরেই আমাদের জন্ম। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা মুক্তিযুদ্ধকে ‘গোলমাল’ বলেছিলেন। জাতি সেটা ভোলেনি।”
তিনি বলেন, “আমরা ২০০৯ সাল থেকে ১৫ বছর ধরে সংগ্রাম করেছি—একদিন নয়, টানা ১৫ বছর আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাজিত করার জন্য, শেখ হাসিনাকে হটানোর জন্য সংগ্রাম করেছি। মুক্তিযোদ্ধারা যেমন সংগ্রাম করেছিলেন, আমরাও তেমন সংগ্রাম করেছি।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা এই অবস্থার মধ্যে যুদ্ধ করেছি, সংগ্রাম করেছি। আমাদের ইলিয়াস ভাইসহ ১৭০০ মানুষকে গুম করা হয়েছে, ২০০০ মানুষকে খুন করা হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি ফ্যাসিবাদী দানবীয় রাষ্ট্র কায়েম করা হয়েছিল। আমরা সেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়াই করেছি।”
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “অভ্যুত্থানের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হলে অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠারও সাহস পেত না। আমাদের ৩১ দফায় সব সংস্কারের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। আমরাই সংস্কারের পক্ষে। পিআর হবে কি না সে সিদ্ধান্ত আগামী সংসদ নেবে। পিআর না হলে নির্বাচন হবে না এ কথা বলে মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের ‘নোট অফ ডিসেন্টের’ কথা বাদ দিয়ে তারা নতুন করে কিছু ভিন্নও প্রস্তাব সামনে এনেছে। এটা অন্যায়, এটা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। তারপরও আমরা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে শুধুমাত্র প্রেস কনফারেন্স করেছি। আমরা রাস্তায় যাইনি, প্রধান উপদেষ্টার বাড়ি ঘেরাও করিনি, নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করিনি। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দল জোট বেঁধে আন্দোলন করছে, সরকারকে চাপ দিচ্ছে যেন তাদের কথাই যেন মানা হয়। আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হোক।
এসময় সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভারতে বসে বিভিন্ন মিডিয়াকে শেখ হাসিনা ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ করতে চাই। কারণ তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ অনেকে।
এএইচ
আরও পড়ুন










