জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার খবর পাকিস্তানের গণমাধ্যমে
প্রকাশিত : ১৬:৫৩, ১ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৬:৫৮, ১ জুন ২০২৫

বাংলাদেশে দীর্ঘ এক দশক পর রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন পুনর্বহাল করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। রোববার (১ জুন) প্রকাশিত এই রায়কে ঘিরে শুধু বাংলাদেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ সাড়া পড়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এই রায় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডন এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ২০১৩ সালে হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেছিল। এরপর দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে দলটি সুপ্রিম কোর্টে জয় পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এই রায় এসেছে, এমন এক সময় যখন আওয়ামী লীগকেও সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ডন আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট, যা এই রায়ের সঙ্গে সংযুক্ত একটি বড় প্রেক্ষাপট হয়ে উঠেছে।
প্রতিবেদনে জামায়াতের পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক ইতিহাসের কথাও তুলে ধরা হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় দলটির ভূমিকা নিয়ে এখনো বাংলাদেশে বিতর্কের শেষ নেই। দলটি এক সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে পরিচিত ছিল।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো জামায়াতের ফিরে আসাকে একদিকে "রাজনৈতিক সমীকরণে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত" হিসেবে দেখছে, অন্যদিকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে এ অঞ্চলের রাজনৈতিক উত্তাপ বৃদ্ধির প্রমাণ হিসেবে ব্যাখ্যা করছে। ডন জানায়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার শুরু হয়েছে, যার প্রথম শুনানি সম্প্রচার হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে গণহত্যা উসকানি, সহায়তা, ষড়যন্ত্রসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ।
এমবি//
আরও পড়ুন