ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

জামিন পেলেন প্রথম আলো সম্পাদক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:০৪, ২০ জানুয়ারি ২০২০

ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে ‘কিশোর আলোর’ বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় চার সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।  

সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ  আদেশে দেন। 

এ জামিন শেষ হলে নিম্ন আদালতে তাকে আত্মসমপর্ণ করতে হবে বলেও ওই আদেশে বলা হয়। একইসঙ্গে, জামিন আবেদন করা বাকি পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে না নেওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার ও হয়রানি না করতেও নির্দেশ দেন আদালত।  

শুনানিতে প্রথম আলোর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আমীর-উল ইসলাম ও রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির অংশগ্রহণ করেন। 

বাকি পাঁচজন হলেন- প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহ পরাণ তুষার এবং নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক। 

আর জামিন আবেদন না করা চারজন হলেন, কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জসীম উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হাওলাদার। 

এর আগে গতকাল রোববার এ মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হকসহ ছয়জনকে গ্রেফতার ও হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়ে সোমবার (আজ) জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। 

এরও আগে গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) নাইমুল আবরার নিহত হওয়ায় কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলিম এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। 

উল্লেখ্য, গত বছরের ১ নভেম্বর প্রথম আলোর কিশোর ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’র বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরার (১৫)। সে নবম শ্রেণির (দিবা) ‘গ’ শাখার ছাত্র ছিল। ঘটনার পরদিন প্রথমে মোহাম্মদপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন আবরারের বাবা মজিবুর রহমান। 

পরে ৬ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আমিনুল হকের আদালতে অবহেলাজনিত কারণ উল্লেখ করে আরেকটি মামলা করেন আবরারের বাবা। মামলায় পেনাল কোডের ৩০৪ ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়। আদালত অপমৃত্যুর মামলার সাথে এই মামলার তদন্তের নির্দেশ দিয়ে মোহাম্মদপুর থানাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

আবরার সহপাঠীদের অভিযোগ, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর তাকে (আবরার) দ্রুত চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আয়োজক কর্তৃপক্ষ তাকে আশপাশের কোনো হাসপাতালে না নিয়ে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় তার মৃত্যু হয়।

এআই/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি