জামিন পেলেন সেলিম প্রধান, কারামুক্তিতে বাধা নেই
প্রকাশিত : ১৫:৩৮, ২০ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৫:৫৭, ২০ অক্টোবর ২০২৫

রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধান।
আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আফরোজা শিউলি শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী গোলাম নবী এ তথ্য জানান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সেলিম প্রধানের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম শিহাব জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
অন্য সব মামলায় জামিন তার থাকায় কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে গুলশানের বারিধারার নেক্সাস ক্যাফে প্লেস নামক একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করা হয়। সেখান থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি সীসা উদ্ধারের দাবিও জানায় পুলিশ।
পরে গুলশান থানার এসআই মাহমুদুল হাসান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এর আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সেলিম প্রধানকে আটক করে র্যাব-১। এরপর তার গুলশান, বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালানো হয়। সেসময় নগদ ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয় হরিণের চামড়া।
ওই দিনই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে সেলিম প্রধানকে কারাগারে পাঠান ভ্রাম্যমাণ আদালত। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলাটি ঢাকার চতুর্থ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।
গুলশান থানার মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলাটি তদন্তধীন। এ ছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
এ মামলায় ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ আদালত-৮ এর বিচারক মানিলন্ডারিং আইনে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদক আইনে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা এবং অনাদায়ে আরেক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এএইচ
আরও পড়ুন