ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ঝুঁকি নিয়েই ট্রেনের ছাদে চেপে বাড়ি ফেরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৮, ২১ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১৪:২০, ২১ আগস্ট ২০১৮

রাত পোহালেই কোরবানির ঈদ। ঘরমুখো মানুষের রাজধানী ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। ঈদযাত্রার শেষদিনে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়েছে ট্রেনে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশন ও টঙ্গী জংশনে সকাল থেকে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সবার লক্ষ্য ট্রেনে চেপে বাড়ি ফেরা। অনেককে বগিতে জায়গা না পেয়ে ট্রেনের ছাদে চড়তেও দেখা গেছে।

সকাল সোয়া ৯ টায় সরেজমিনে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে দেখা গেছে, হাজার হাজার যাত্রী স্টেশনে ভিড় করছেন। যেন তিল ধারণের ঠাই নেই। ট্রেন আসা মাত্র সবাই উঠতে ভিড় করছেন। বগিতে জায়গা হচ্ছে কম যাত্রীরই। শত ঝুঁকি নিয়ে ছাদে ঠাই পেতে চেষ্টা করছেন ঘরমুখো মানুষ।

সকাল সাড়ে ৮ টায় টঙ্গী জংশনে ভেড়া একটি ট্রেনে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। ছাদেও ঠাঁই নেই। কমলাপুর থেকেই বেশিরভাগ ট্রেনের ছাদ ভর্তি। টঙ্গীতে থামা মাত্র অপেক্ষমান যাত্রীদের মধ্যে শুরু হয় হুড়োহুড়ি। কার আগে কে উঠবে এই প্রতিযোগিতা। ছাদেও যে জায়গা নেই সেদিকে যেন ভ্রুক্ষেপই নেই। যে করেই হোক না কেন বাড়ি যেতে হবে। পরিবারের মুখ দেখতে হবে। তাই ছাদের কোথাও একটু ফাঁকা পেলে সেই জায়গা পূরণ করতে কয়েকজন ভিড় করছেন। এ যেন ফাঁকা স্থান দখলের প্রতিযোগিতা।  

সকাল ৯ টায় বিমানবন্দর রেল স্টেশনে এগারসিন্ধুর এক্সপ্রেস ট্রেন আসতেই দেখা গেলো হুড়োহুড়ি করে ছাদে উঠছেন যাত্রীরা। কে কার আগে উঠবেন তা নিয়েই প্রতিযোগিতা।

আইনশৃঙ্খলা বহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন তা সত্ত্বেও জানালা বেয়ে ছাদে চড়ছেন অনেক যাত্রী। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে তাতেও ক্ষান্ত হচ্ছেন না তাঁরা। আইনশৃংখলা বাহিনী যাত্রীদের সামাল দিতে পারছেন না। ঘরমুখো মানুষের অদম্য যাত্রার কাছে তাঁরা যেন অসহায়।

ময়মনসিংহগামী যাত্রী আবুল হোসেন বলেন, বিমানবন্দর এলাকায় টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা প্রভৃতি এলাকার যাত্রীরা বেশি ওঠেন। এসব এলাকার লোক ট্রেনে কম সময়ে বাড়ি যেতে পারেন, তাই ট্রেনকেই বেছে নেন তারা। তবে অনেকেই ট্রেনের ছাদে ঝুঁকি নিয়ে চড়েন। ঝুঁকি থাকলেও এটাই বাস্তবতা।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি