ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ডায়মন্ড জাহাজের এক মেয়ের বাবার চিঠি মোদীকে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৩, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

জাপানের বন্দরে ডায়মন্ড প্রিন্সেস। ছবি: সংগৃহীত

জাপানের বন্দরে ডায়মন্ড প্রিন্সেস। ছবি: সংগৃহীত

জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে আটকে থাকা প্রমোদতরী ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’-এ রয়েছেন ভারতীয় তরুণী সোনালি ঠাকুর। তার চোখের সামনে এক এক করে জাহাজের ৬৩৭ জন যাত্রী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় অভিভাবকদের দিশেহারা হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই সোনালীর বাবা দীনেশ ঠাকুর চিঠি লিখে মেয়েকে আনার জন্য আকুতি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে।

ওই চিঠিতে দীনেশ ঠাকুর বলেছেন, ‘আমার মেয়ের যত বার রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে, ততবারই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মেলেনি। তবুও তাকে সংক্রমিতদের সঙ্গে এক জাহাজে রাখা হয়েছে। ১৫ দিন ধরে একটা ছোট্ট ঘরে কার্যত বন্দি রয়েছে সোনালী। এই পরিস্থিতিতে তার প্রাণসংশয়ের ঝুঁকিও বেড়েছে। তাই ভারতীয় নাগরিক হিসেবে ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, মেয়েকে ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’

বাবার এই আকুতির চার দিন আগে জাহাজ থেকে এক বিবৃতিতে সোনালিও সরকারের কাছে বাঁচানোর আর্জি জানিয়েছিলেন।

শুক্রবার পর্যন্ত ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে নতুন করে ১৩ জন যাত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে ওই জাহাজে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছল ৬৩৭-এ। গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে জাহাজটিতে কোয়ারেন্টাইন (রোগ সংক্রমণের আশঙ্কায় পৃথক রাখা) করে রাখা হয় ৩ হাজার ৭০০ যাত্রীকে। যারা ৫৬টি দেশের নাগরিক।

ওই জাহাজে আটকে পড়া আরেক ভারতীয় স্বরূপ চম্পাদার বলেছেন, ‘পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। পরিবারের লোকেরা চিন্তায় রয়েছেন। জানি না কবে দেশে ফিরতে পারব।’ 

ডায়মন্ড জাহাজের কর্মী উত্তর দিনাজপুরের বিনয় সরকার বলেন, ‘জাপানের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দেশে ফেরানোর বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। অপেক্ষায় রয়েছি।’

জাপানের ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, জাহাজটিতে যে আট ভারতীয় কর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন, তাঁরা ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন।

‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’ থেকে সম্প্রতি ছাড়া পেয়ে ইসরাইল ফিরেছিলেন এক যাত্রী। জাহাজে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরে ক্লিনচিট পেয়েই জাপান থেকে দেশে ফেরেন তিনি। কিন্তু দেশে ফিরেই রক্ত পরীক্ষায় সংক্রমণ ধরা পড়ে তার। একই ভাবে ওই প্রমোদতরী থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরে ভাইরাসে আক্রান্ত হন অস্ট্রেলিয়ার দুই নাগরিকও। 

ইতিমধ্যে ডায়মন্ট জাহাজ থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ৩৮০ জন নাগরিকের অধিকাংশকেই বিশেষ বিমানে করে নিয়ে যায়। এছাড়া কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রিটেনও তাদের নাগরিকদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। 

সূত্র : আনন্দবাজার

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি