ঢাকা, শুক্রবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন

ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্য সংঘাতে জড়াতে চায় না দিল্লি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:১২, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৮:১৬, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের পথে হাঁটতে চায় না ভারত। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিষয়ে উদ্ভূত উত্তেজনার মাঝেও শান্ত অবস্থানেই থাকতে চায় দিল্লি। ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে দেশটির একাধিক সরকারি সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন বাণিজ্যিক সিদ্ধান্তের পাল্টা জবাব দিলেও তা হবে না কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ। বরং ভারতের পক্ষ থেকে সতর্কতা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

ভারতের সরকারি সূত্রগুলো বলছে, সম্প্রতি বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মূলত নিজেদের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরের চাপ কমাতে। তবে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে এই সিদ্ধান্ত কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।

তবে দেশটির কিছু সংবাদমাধ্যম আগেই দাবি করেছিল, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার ‘সেভেন সিস্টার্স’–সংক্রান্ত মন্তব্যের পর ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত সরকার।

টাইমস অব ইন্ডিয়া আরও জানায়, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের আগেই বাংলাদেশ গত মার্চে তিনটি বন্দর বন্ধ এবং স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও সুতা আমদানি নিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা আসে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে।

এ ছাড়া ভারতীয় কর্তৃপক্ষের ধারণা, বেনাপোল কাস্টমস হাউজে বাংলাদেশ যে অতিরিক্ত সতর্কতার ঘোষণা দিয়েছিল, তা-ও বাণিজ্যিকভাবে চাপ প্রয়োগের কৌশল ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত করার কৌশল হিসেবে পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য শুরু করেছে।” উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান ট্রেডিং করপোরেশন থেকে বাংলাদেশ ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করেছে।

ভারতীয় পক্ষের এমন বার্তায় ধারণা করা হচ্ছে, আগামী দিনে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

এসএস//
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি