ঢাকা, মঙ্গলবার   ০১ জুলাই ২০২৫

তমব্রু সীমান্তে আতঙ্ক, এলাকা ছাড়ছেন মানুষ (ভিডিও)

সমর ইসলাম

প্রকাশিত : ২১:১৫, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | আপডেট: ২১:৪৭, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় চরম আতঙ্কে বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দারা। এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় অনেকে সরে যাচ্ছেন নিরাপদ স্থানে। উদ্বেগ-আতঙ্ক বেড়ে যাওয়ায় ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪১৬ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে। 

শুক্রবার রাতে মিয়ানমারের ছোঁড়া অন্তত ১১টি মর্টারশেল এসে পড়ে তুমব্রু কোনারপাড়া গ্রাম ও শূন্যরেখায়। শেল বিস্ফোরণে মোহাম্মদ ইকবাল নামে এক রোহিঙ্গা কিশোর মারা যায়। আহত হয় আরও ৬ রোহিঙ্গা। রাতভর মিয়ানমার থেকে ভেসে আসে গুলির শব্দ।

কোনারপাড়া শূন্যরেখায় গত ৫ বছর ধরে বাস করছে সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গা। আর সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে বাস করে দশ হাজারের বেশি বাংলাদেশি। এখন তাদের দিন কাটছে আতঙ্কে। কোনারপাড়া গ্রামের ৫০টি পরিবার এরই মধ্যে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে সরে গেছে। অধিকাংশ বাড়ির নারী ও শিশুরা পাশের এলাকায় আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "মিয়ানমারের বড় বড় হেলিকপ্টার ঘোরাফেরা করছে আর বোমা ফেলতেছে, মাঝেমধ্যে সাদা বড় জেট বিমান দেখা যায়, তাই সবাই আতঙ্কে আছে।" 

রাতভরই গোলাগুলি চলে বলছেন স্থানীয়রা। 

নাইক্ষ্যংছড়ির, ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, "লোকজন অনেকেই আগেই ভয়ে এলাকা ছেড়েছে, পরে আমরাও সরে এসেছি।" 

এদিকে, মিয়ানমার সীমান্তে আতঙ্কজনক পরিস্থিতির কারণে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কেন্দ্রের ৪১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেয় ৪১৬ শিক্ষার্থী।

গত দেড় মাস ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রাতদিন গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিকট শব্দে প্রকম্পিত হচ্ছে সীমান্ত এলাকা। 
 

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি