ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

তিন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২২, ১৮ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ১০:২৫, ১৮ অক্টোবর ২০১৯

কক্সবাজার, ময়মনসিংহ ও জয়পুরহাটে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৪ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার ভোরে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এসব ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুইজন রোহিঙ্গা ইয়াবা কারবারি নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার ভোর রাত ৪টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং নাফ নদীর সীমান্তে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে বিজিবির সদস্যরা ৫০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরী বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও দুইটি ধারাল কিরিচ উদ্ধার করেছে।

নিহতরা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পের সোলতান আহমদের ছেলে মো. আবুল হাসিম (২৫) ও আবু ছিদ্দিকের ছেলে নুর কামাল (১৯)।

টেকনাফ ২নং বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সল হাসান খান সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে টেকনাফের হোয়াইক্যং বিওপির সদস্যরা জানতে পারেন যে মিয়ানমার থেকে একটি ইয়াবার চালান সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এই খবরে দায়িত্বরত বিজিবির সদস্যরা হোয়াইক্যং সীমান্তের নাফ নদীর পারে অবস্থান নেয়। এসময় একটি কাঠের নৌকা করে কিছু লোক নাফ নদী পার হয়ে এ পারের সীমান্তে উঠার চেষ্টা করলে বিজিবির সদস্য তাদের পাচারকারি হিসেবে চ্যালেঞ্জ করে তাদের আটকের চেষ্টা চালায়। কিন্তু বিজিবির সংকেত অমান্য করে পাচারকারিরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। এক পর্যায়ে পাচারকারিরা নৌকা নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরী বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও দুইটি ধারাল কিরিচ উদ্ধার করে। এসময় দুইজন লোককে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে বিজিবির সদস্য তাদের উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। মৃতদেহগুলো ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সে ৮ মামলার আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার চাঁনপাড়া-শিরট্রি সড়কে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে। এসময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি পিস্থল ও সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে।

নিহত আমিনুল পাঁচবিবি উপজেলার পিয়ারা গ্রামের শাহাবুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, মাদক কারবার, ছিনতাইসহ ৮টি মামলার পলাতক আসামি ছিলেন আমিনুল।

পাঁচবিবি থানার ওসি মনসুর রহমান জানান, শুক্রবার ভোর রাতে উপজেলার ভুতগাড়ী গ্রামে আমিনুলসহ তার দলবল অপহরণ ও মুক্তিপন আদায়ের উদ্দেশ্যে একত্রিত হচ্ছিলেন, এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছুঁড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এতে অন্যরা পালিয়ে গেলেও আমিনুল গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন।

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আব্দুল মোতালেব (৪২) নামে একজন নিহত হয়েছেন। সে পাঁচটি ডাকাতি মামলার আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গফরগাঁও-রসুলপুর আঞ্চলিক সড়কে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে। ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনায় আকরাম হোসেন নামে পুলিশের এক এসআই আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, ১০ রাউন্ড গুলি ও বেশকিছু কার্তুজের খোঁসা উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত আব্দুল মোতালেব গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুরের ছয়ানী গ্রামের কেতু শেখ ওরফে আব্দুল গফুরের ছেলে।

ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে গফরগাঁও-রসুলপুর আঞ্চলিক সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে ডাকাতদল- গোপনসূত্রে এমন সংবাদ পেয়ে ডিবি পুলিশের দুটি দল অভিযান চালায় সেখানে। ডাকাতদল পুলিশের উপস্তিতি টের পেয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে সহযোগী ডাকাতদল পালিয়ে যায়। পরে সেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মোতালেব নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। আহত মোতালেবকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি