ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

‘তিনি নাকি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছিলেন’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:২৭, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৫:৪৭, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

‘বঙ্গবন্ধু সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছিলেন’এমন অপপ্রচারের জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, তিনি নাকি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ, সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর তো পত্রিকা চালানোর মতো অনেকের ক্ষমতাই ছিল না। তাছাড়া স্বাধীনতাবিরোধীরা তখন সক্রিয় ছিল। তাঁরা যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশে তখন যে ভয়াবহ অবস্থা ছিল সেটা তুলে ধরতো না।

আজ বুধবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনাজনিত আহত এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা ভাতা/অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে গণমাধ্যমের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন তো কারও সংবাদপত্র চালানোর মত ক্ষমতাই ছিল না। চালাতেই পারছিল না। আর কিছু তো ছিল লিফলেটের মতো। তারা উল্টাপাল্টা কথা বলে যেত।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন একটা যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ গড়ে তুলছিলো, তখন এ ধরনের উল্টাপাল্টা আচরনও কিছু কিছু ছিল। স্বাধীনতা বিরোধীরা তখন সক্রিয় ছিল। তাদের অর্থ সম্পদও যথেষ্ট ছিলো। সেটা তারা ব্যায় করতো, ব্যবহার করতো ও অপপ্রচার চালাতো। কিন্তু দেশের যে কি ভয়াবহতা ছিল, সেটা কেউ তুলে ধরতো না।

সাংবাদিকদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু বেকার সাংবাদিকদের সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন। অথচ তারাই পঁচাত্তরের পর বঙ্গবন্ধুর সমালোচক হয়ে উঠেছিল। তাঁরা বলা শুরু করল জাতির জনক গণমাধ্যম রাষ্ট্রীয়করণ করে স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছেন। অথচ তাঁদের গণমাধ্যম পরিচালনার মতো অবস্থা কিন্তু তখন ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সংবাদপত্র ও মিডিয়ার স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। আমরা এত উন্নয়ন করার পরও অনেকেই নানাভাবে সমালোচনা করনে। আমরা সংবাদপত্র বা মিডিয়ার কাউকে মুখ চেপে বা গলা চেপে ধরনি। এ কথা কেউ বলতে পারবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন দেশে শুধু সরকারি একটি টিভি চ্যানেল ও একটি রেডিও ছিল। আমরা টেলিভিশন চ্যালেন, সংবাদপত্র ও রেডিও বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিই। একটাই উদ্দেশ্য ছিল-অবাধ তথ্য প্রবাহ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রহমত আলী এমপি প্রমুখ।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি