ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

তিনি নোবেল পেয়েও এমডি পদের লোভ সামলাতে পারলেন না কেন?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:১৬, ১৪ অক্টোবর ২০১৮

গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ ফিরে পেতে মামলা করায় ড. ইউনূসের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একজন নোবেল জয়ী হয়ে সামান্য এমডি পদের লোভ কেন তিনি সামলাতে পারলেন না? ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদমর্যাদা তো একজন সাধারণ যুগ্ম সচিবের মতো। তিনি কেন এই লোভ করলেন?

আজ রোববার মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মোচন ও কয়েকটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পদ্মাসেতুতে অর্থায়ন ঠেকাতে ড. ইউনূসের বিদেশে লবিংয়ের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ ফিরে পেতে তিনি দেশে বিদেশে লবিং করেছেন। এমনকি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত হন। এ হলো তাদের দেশপ্রেম। যারা গরীবের সুদের টাকায় বড়লোক হয় তাদের আবার কিসের দেশপ্রেম। তাঁদের দেশপ্রেম থাকতে পারে না। দেশপ্রেম থাকলে দেশের উন্নয়ন বিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে পারতো না।

প্রধানমন্ত্রী বলে, গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে থাকতে মামলা করে হেরে গিয়ে ড. ইউনূস দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদককে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি বিল ক্লিনটনকে মেইল করেন। তাঁকে পদ্মাসেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করাতে অনুরোধ করেন।

হিলারি ক্লিনটন করলেন হিলারি ক্লিনটন আমাকে ফোন করে ড. ইউনূসকে এমডি পদে রাখতে বললেন। আমি বললাম আদালতে মামলা করে পদ হারিয়েছেন ইউনূস। এছাড়া ব্যাংকের নিয়ম তো ৬০ বছরের বেশি কেউ এমডি থাকতে পারবেন না। উনার বয়স ৭০ এর বেশি। এতে আমার কি করার আছে। ক্লিনটনকে দিয়ে ইউনূস ফোন করালেন যে, এমডি পদ ফেরত দেওয়া না হলে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়া হবে।

অবশেষে হিলারি ক্লিনটর দায়িত্ব ছাড়ার আগে বিশ্বব্যাংককে দিয়ে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন আটকে দেন। এই হলো তাঁদের দেশপ্রেম। দেশবাসীকে এগুলো মনে রাখতে হবে।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলতে চাই, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মামলাও হয়েছে। কানাডার ফেডারেল কোর্ট সেই মামলার রায়ও দিয়েছেন। রায়ে বলা হয়েছে, যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে সব ভিত্তিহীন, মিথ্যা। সেখানেও আমাদের জয় হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব ষড়যন্ত্র চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিয়ে আজ পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে চলছে। ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান প্রমুখ।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি