ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

তয়ন হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৪৮, ৮ মার্চ ২০২০

খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানার চাঞ্চল্যকর স্কুলশিক্ষক কাজী তাসফিন হোসেন তয়ন (৩২) হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জ‌রিমানা করা হয়েছে। 

আজ রোববার খুলনার বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।

খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আহাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রোববার চাঞ্চল্যকর তয়ন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এ রায়ে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনকে খালাস দেওয়া হয়।’

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, কাজী মুরাদ, কাজী ফরহাদ হোসেন, মো. জাকির, কাজী রওনাকুল ইসলাম রনো ও সাইফুল। এদের মধ্যে জাকির পলাতক রয়েছেন। আর খালাস পেয়েছেন কাজী সাব্বির হোসেন ফাহিম ও কাজী মাসুম।

মামলার বিবরণে জানা যায়, নিহত (ভিকটিম) তয়ন খালিশপুর থানার মুজগুন্নী মেইন রোডস্থ কাজী ফেরদৌস হোসেন তোতার ছেলে। ৩২ বছর বয়সী এ স্কুল শিক্ষককে ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট রাতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র হত্যা করে ডোবার মধ্যে মরদেহ চাপা দিয়ে রাখে। 
 
এ ঘটনায় কাজী তাসফিন হোসেন তয়নের বাবা কাজী ফেরদৌস হোসেন তোতা ওই বছর ৮ সেপ্টেম্বর খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পর খালিশপুর থানা পুলিশ মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে সন্দেহজনক আসামি সাইফুল ইসলাম গাজীকে গ্রেফতার করে। 

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল স্বীকার করেন যে, তিনিসহ তার সহযোগিরা ২৮ আগস্ট রাত ৯ থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তয়নকে হত্যা করে মরদেহ বয়রা পুলিশ লাইনের পশ্চিম পাশের মোস্তফা কামালের ডোবা জমির উত্তর পাশের কচুরিপনা ও হোগলা বনের মধ্যে চাপা দিয়ে রেখেছেন। 

সাইফুলের দেখানো মতে ওই ডোবা থেকে পিলার ও বাঁশের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় তয়নের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আসামি সাইফুল ও অপর সহযোগী আসামি কাজী মুরাদ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তারা জানান, তারা দু’জনসহ আরও কয়েকজনে মিলে তয়নকে হত্যা করেন। জবানবন্দিতে কাজী ফরহাদ হোসেন, কাজী সাব্বির হোসেন ফাহিম, কাজী রওনাকুল ইসলাম রনো, কাজী মাসুম ও মো. জাকিরের নাম উল্লেখ করা হয়। পুলিশ পরে মো. জাকির ছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেফতার করেন। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান সাতজনকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ১০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে উল্লেখিত ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনই আদালতে তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন।

চলতি বছরেই মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক মামলা হিসেবে চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলাটি খুলনার বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। 

গত ২৬ ফেব্রুয়া‌রি একই ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক শেষ হয়। পরে আদালতের দেয়া তারিখ অনুযায়ী আজ রায় ঘোষণা করা হয়। 

এআই/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি