ধ্বংসস্তূপ থেকে রক্তরাঙা সূর্য উঠেছিল এ মাসে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১০:৫৫, ১ ডিসেম্বর ২০২১
 
				
					লাশের ধ্বংসস্তূপ থেকে রক্তরাঙা সূর্য উঠেছিল এ মাসে। লাখো শহীদের আত্মবলিদান আর অসংখ্য বীরাঙ্গনার ত্যাগের বিনিময়ে লাল-সবুজের বিজয় পতাকা উড়েছিল মহান ডিসেম্বরে।
১৯৭১, মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর ডাকে ন’মাস আগেই যুদ্ধে নেমেছিল বীরবাঙালি। পাকিস্তানি জান্তা আর দখলদারের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল সশস্ত্র সংগ্রাম।
স্বাধীনতার সেই যুদ্ধ বাঙালির মুক্তির সনদ। অতপর জাতির জনকের হাত ধরে অগ্রসর হয় দেশ, এগিয়ে চলে জনতা।
পঁচাত্তরে পরাজিত শক্তি সপরিবারে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুকে। দেশ আবারো ঢুকে পরে অন্ধকারে। সেই থেকে খর্ব হতে থাকে মানুষের সার্বিক অধিকার, ব্যক্তির অর্থনীতি আর সমাজদর্শন।
একে একে আসে বাধা। উল্টোপথে হাঁটা দেশ ক্রমশ: নিমজ্জিত হয় গভীর আঁধারে। মোশতাক-জিয়া-এরশাদের সময় বদলে যায় সংবিধান, পরিবর্তন হয় রাষ্ট্রকাঠামোর বহুমাত্রিক ধরণ।
ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সময় পার করে অবশেষে আলোর দেখা মেলে ১৯৯৬তে। কিন্তু তাও স্থায়ী হয়নি বেশি দিন।     
২০০৮ সাল, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। জাগরণের রেখা ধরে আসে পরিবর্তন। শুরু হয় ভাগ্য বদল। মানবসম্পদের সূচকে যোগ হয় নতুন মাত্রা।
এশিয়ার অন্যতম তো বটেই বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল ২৫ দেশের অন্যতম এখন বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর প্রথম বাজেট ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা। ২০২১-২২ সালে বাজেটের আকার ৬ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। মাথাপিছু আয় ৯৩ ডলার থেকে উন্নীত হয়ে ২ হাজার ৫শ’ ৫৪ ডলার হয়েছে। রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ৪৬ বিলিয়ন ডলার।
সিপিডি সম্মানীত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সবকিছু মিলে অবশ্যই আমাদের অনেক অগ্রগতি আছে। আমাদের শিক্ষায় যে বৈষাম্য সেটা অনেক হ্রাস হয়েছে।
তৈরি পোশাক, পাট, চা, ওষুধ, মাছ আর প্রযুক্তি শিল্পে এই দেশ এখন অনন্য এক নাম।
ড. মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, দেশে রপ্তানীমুখী একটা শিল্প গড়ে উঠেছে, বিশ্বে আমাদের দ্বিতীয় স্থান তৈরি পোশাক খাত। আগের প্রজন্ম থেকে অর্থনৈতিক মোটামুটি একটা ভাল অবস্থানে।
বারুদবিধ্বস্ত এ দেশের মাটি দিনে দিনে সোঁদা হয়েছে। বদলেছে মানুষের কর্মস্পৃহা। মেট্টোরেল, পদ্মাসেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শেষ করে সাবমেরিন জাহাজের যুগে এখন বাংলাদেশ। মুজিবের নামে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ছুঁয়েছে মহাকাশ।
রক্ত দিয়ে লেখা স্বাধীনতার প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি কাল, প্রতিটি মুহূর্ত। সুবর্ণ জয়ন্তির শুভক্ষণে তাই প্রত্যাশা অবিচল। জীবনের দামে অর্জিত স্বাধীনতার চেতনা যেন ভুলুণ্ঠিত না হয়।
এএইচ/
 
				        
				    






























































