ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকলগুলো (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:১৪, ৫ মে ২০১৮

বকেয়া বেতনের কারণে শ্রমিক অসন্তোষ আর পুরনো মেশিনে জোড়াতালি দিয়ে চলছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকলগুলো। নানাবিধ সংকটে দিন দিন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে এই শিল্প। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ আর বছর বছর শত শত কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েও কাংখিত সুফল আসছে না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কঠোর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে মিলগুলোকে লাভজনক করা সম্ভব।

স্বাধীনতার পরপর মোট রফতানি আয়ের ৯০ শতাংশই আসতো পাট খাত থেকে। তবে, সময়ের সঙ্গে পাল্টে গেছে সেই চিত্র। এখন ৩টি নন জুটসহ সরকারি পাটকলের সংখ্যা ২৬। অন্যদিকে, বেসরকারি খাতে পাটকলের সংখ্যা ১৭০টি। সরকারি পাটকল লোকসানে থাকলেও, মুনাফা করছে বেসরকারি খাতের গুলো।

টানা ২২ বছর লোকসানের পর ২০১০-১১ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকল পরিচালন সংস্থা- বিজেএমসি লাভের মুখ দেখলেও আবার পিছু নিয়েছে লোকসান। ২০১১-১২ অর্থবছরে ৭৯ কোটি, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৩৮৫ কোটি এবং ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৪শ’ ৫২ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বিজেএমসির লোকসানের পরিমাণ ৬৪০ কোটি টাকা ছাড়ায়। এর পরের বছর লোকসানের পরিমান ছিলো ৬শ’ ৫৬ কোটি টাকা।

দক্ষ শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারিদের প্রমোশন না দেওয়া, নিয়মিত বেতন পরিশোধ না করাসহ অনেক কারণে অশান্ত খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকলগুলো। শ্রমিকরা বলছেন, দুর্নীতির কারণে মৌসুমে ভালো পাট না কিনে, পরে বেশি দামে নিন্মমানের পাট কেনেন কর্মকর্তারা। লোকসানের এটিও অন্যতম কারণ। দীর্ঘদিন বেতন বকেয়া থাকায় নিয়মিত আন্দোলন করছেন শ্রমিকরা।

আর পাটখাতের উন্নয়নে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী জানালেন, এই খাতে অব্যবস্থাপনা দূর করতে সব ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এমনকি বিজেএমসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

কৃষক, শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি পাট খাতের উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভিডিও

একে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি