ঢাকা, সোমবার   ২৮ জুলাই ২০২৫

‘নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য কারিগরি দক্ষতা বাড়াতে হবে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:০৪, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

উদ্ভাবনী অনেক কিছু বাংলাদেশে করা সম্ভব। কিন্তু এ খাতে নেতৃত্ব ও কারিগরি সহায়তার অভাব রয়েছে। সার্বিকভাবে সবগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে। তাই দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন জনশক্তি তৈরি করতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনা: বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংযোগ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তারা এসব কথা বলেন। তিন দিনব্যপী ‘১৮তম নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্মেলন ও গ্রিন এক্সপো ২০১৮’র কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইফুল হক।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ সৌরশক্তি সমিতির যৌথ উদ্যোগে ‘১৮তম নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্মেলন ও গ্রিন এক্সপো ২০১৮  শীর্ষক তিন দিনব্যাপী জাতীয় সেমিনার ও নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তির সরঞ্জমাদির প্রদর্শনী হচ্ছে।

সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিন বিকেলের সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ সারোয়ার, ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক ও নিটল নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহমেদ।

নসরুল হামিদ বলেন, ভবিষ্যতের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এজন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা লাগবে, সরকার তা করবে। একইসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি ইনস্টিটিউটের ল্যাব বিল্ডিং নির্মাণে সহায়তার আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী। 

নাহিম রাজ্জাক বলেন, দেশের অনেক কিছু আছে। কিন্তু লিডারশিপ ও টেকনিক্যাল নলেজের অভাব রয়েছে। চায়না থেকে যেসব প্রযুক্তি এখন আমদানি করা হয় এগুলো কোনোটির প্রয়োজন হবে না, দেশেই এসব উৎপাদন সম্ভব। এজন্য আমাদের উদ্ভাবনী কাজে তরুণদের মনোযোগী হতে হবে।  

আব্দুল মাতলুব আহমেদ বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশে তৈরি ইলেক্ট্রিক কার বাজারজাত শুরু হবে। দাম হবে তিন থেকে চার লাখ টাকা। এক্ষেত্রে তার প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইনস্টিটিউটের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আরকে/টিকে


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি