ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪

নির্বাচন কাঠামো আরও সুংসহতের প্রত্যাশা (ভিডিও)

স্মৃতি মণ্ডল

প্রকাশিত : ১৩:৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৩:৪৪, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১

গেল পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের মানুষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখেছে এগার বার। আওয়ামী লীগ ৫ বার, বিএনপি ৪ বার আর জাতীয় পার্টি সরকার গঠন করেছে দু’বার। পরিপূর্ণ স্বাধীন থেকে কমিশনকে গণমুখী নির্বাচন ব্যবস্থা বহাল রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

দীর্ঘ শোষণ, লাগাতার বঞ্চনা আর নানামুখি নির্যাতনের প্রতিবাদে রুখো বাঙালির ভোটের সীল ১৯৭০ এ। 

১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ নিজভূমে নিজেদের মার্কায় প্রথম ভোটাভুটি। পছন্দের প্রার্থীকে সীল দেয় বাঙালি। জাতীয় সংসদের প্রথমবার সে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল ১৪টি দল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পায় ২৯৩ আসন। বিজয়ী হয়ে গঠন করে সরকার।

সপ্তম, নবম, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ।

১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় পেয়েছিল বিএনপি। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। অতপর বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও অষ্টম সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

হুসাইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি তৃতীয় ও চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করেছিল। 

প্রতিটি সংসদের মেয়াদ ৫ বছর হলেও প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ সংসদের মেয়াদকাল পূর্ণ হয়নি।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইয়ুব খানের শাসন থেকেই এদেশের নির্বাচনে কালো টাকার অনুপ্রবেশ। স্বাধীন বাংলায় জিয়াউর রহমান আইয়ুবি ধারা বহাল রাখেন। ভোটের হাওয়ায় যুক্ত হয় দাঙ্গা বাহিনী।   

ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘আগে যারা নির্বাচন করেছেন তাদের সামান্য অর্থ লেগেছে, সমর্থকরা টাকা জুগিয়েছেন, অর্থের অপচয় হয়নি। বিভিন্ন পেশার মানুষ রাজনীতিতে এসেছেন, রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। ৭৫’র পর থেকে এখন পর্যন্ত যে নির্বাচন ব্যবস্থা দাঁড়িয়ে গেছে সেখানে অর্থ প্রধান চালিকা শক্তি।’

নির্বাচনে যারা প্রার্থী হচ্ছেন কিংবা প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদের বেশিরভাই জনগণের সাথে সম্পৃক্ত নয়- অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন আরও বলেন, রাজনৈতিক দল কিছুই করতে পারছে না, বাধ্য হচ্ছে এবং পুরো সংসদটা ব্যবসায়ীদের কবলে চলে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যে যেতে পারবে না সে কথা আমি বলবো না। কিন্তু মনে রাখতে হবে রাষ্ট্রীয় যত নীতি হবে যতকিছু হবে- সেগুলো জনগণের স্বার্থের থেকে ব্যবসায়ীক স্বার্থে বেশি হবে।’

গণমুখী নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে না উঠার পেছনে কমিশনের ব্যর্থতাকেই দায়ী করলেন ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন।

তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচন কমিশন তাদের পদের কিছু নেই, তাদের তো মন্ত্রী করা হবে না। কিন্তু তারা পরাধীন থাকতে ইচ্ছুক। এটার জট রাজনীতিবিদদেরকেই সারতে হবে।’

’৭০-এর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে স্বাধীন হয়েছিল দেশ; মুক্তিযুদ্ধের পঞ্চাশ বছর পর শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশে নির্বাচন কাঠামো হবে আরও সুংসহত- এমন প্রত্যাশা দেশের মানুষের।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি