ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৪ জুলাই ২০২৫

আরপিও সংশোধনে ৩৫ প্রস্তাব

নির্বাচনে জামানত দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৫৪, ১২ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ২৩:৪০, ১২ এপ্রিল ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

সংসদ নির্বাচনে আরপিও সংশোধনে ৩৫ প্রস্তাব জমা পড়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইলে কোন ব্যক্তিকে জামানত রাখতে হবে ৫০ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে প্রার্থী হতে টিআইএন থাকা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ইসি আইন সংস্কার সংক্রান্ত উপকমিটি বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে পর্যালোচনার জন্য প্রস্তাবণা উপস্থাপন করেন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনে (আরপিও) নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম নেতৃত্বাধীন কমিটি এই প্রস্তাবণা তুলে ধরেন।

সভা শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, “কমিশন বলছে, প্রস্তাবনাগুলোর আরও কিছুটা রিভিউ থাকা দরকার। খসড়া বিল হিসাবে পাঠানোর আগে রিভিউ কমিটি বাস্তবতা বিবেচনা করে আবার কমিশনের তা পেশ করবে।”

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কোন প্রার্থী সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে হলে তাকে ২০ হাজার টাকা ইসিতে জমা রাখতে হয়। ১২ দশমিক ৫ শতাংশের কম ভোট পেলে সেই প্রার্থীর জামানত দেওয়া অর্থ ফেরত দেওয়া হয় না। তবে শুরু থেকেই জামানতের এ বিধানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বাম দলগুলো। তাদের দাবি, এই বিধানের মধ্যে দিয়ে কেবল ধনী ব্যক্তিদের নির্বাচনে লড়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাই, বিদ্যমান জামানত ব্যবস্থা বাতিলের দাবি জানান বাম নেতারা।

তবে বাম নেতাদের দাবি উপেক্ষা করে সংস্কার কমিটি বলছে, জামানত হিসেবে ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে বর্তমানে ৫০ হাজার টাকা করা যৌক্তিক। এ ব্যাপারে কমিশনও গ্রিন সিগনাল দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্কার কমিটির এক কর্মকর্তা।

এদিকে বিভিন্ন মহল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিধান সহজ করার দাবি উঠলেও সংস্কার কমিটি আগের নীতিতেই অটল রয়েছেন বলে জানা গেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে সংশ্লিষ্ট এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন তালিকার বিধান রয়েছে। সিটি করপোরেশন, উপজেলা ও পৌরসভার সঙ্গে সমন্বয় রেখে সংসদে ১০০০ ভোটারের সমর্থন রাখার বিধান রাখতে প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু তা সহজ না করে বিদ্যমান বিধি বহাল রাখার পক্ষে ইসি।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, আরপিও সংশোধনে প্রস্তাবগুলো নিয়ে কমিশনের নীতিগত সিদ্ধান্তের পর তা পর্যালোচনায় আইনি পরামর্শক নিয়োগ করা হবে। এরপর প্রস্তাবিত সংশোধনী নিয়ে ‘খসড়া বিল’ প্রস্তুত করে কমিশনের চূড়ান্ত অনুমোদন নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রিসভা প্রস্তাবনাটি অনুমোদন করলে তা বিল আকারে সংসদে উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।

সর্বশেষ ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (অধ্যাদেশ) (সংশোধন) আইন ২০১৩ বিল পাস হয়। এতে নির্বাচনী ব্যয়সীমা ২৫ লাখ করা ও মানবতাবিরোধী দণ্ডিতদের ভোটে অযোগ্য ঘোষণা করাসহ কিছু সংশোধন এসেছিল। কিন্তু তা এখনো আইনে পরিণত হয়নি।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি