ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

পাটখড়ির কয়লায় তৈরি হচ্ছে প্রিন্টার ও ফটোকপিয়ারের কালি

মফিউর রহমান

প্রকাশিত : ১২:৩৪, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৩:১২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

পাট থেকে আসছে আরও কিছু নতুন পণ্য। প্রিন্টার ও ফটোকপিয়ার মেশিনের কালি, ট্যাবলেটের বাইন্ডার সিএমসি, রেশমের সংমিশ্রণে উন্নতমানে সূতা উদ্ভাবনের গবেষণা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। এছাড়া পানিছাড়া পাটের আঁশ ছাড়ানোর প্রযুক্তিও খুব শিগগিরই দেখতে যাচ্ছে আলোর মুখ।

পাটের সম্ভাবনা অপার। অনেক কিছুই এখন পাট দিয়ে তৈরি হচ্ছে; একসময় যা ছিল সাধারণ মানুষের চিন্তার বাইরে। বিজ্ঞানিদের গবেষণা ও উদ্ভাবনী প্রচেষ্টায় দিন দিন খুলছে অর্থকরি ফসলটির সম্ভাবনার দুয়ার।

পাট দিয়ে এখন পর্যন্ত ২৮২টি পণ্য তৈরি হচ্ছে দেশে। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আসছে আরও কিছু পণ্য। নতুন এসব পণ্যের গবেষণা এখন শেষ পর্যায়ে। পাট গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানিরা বলছেন, সোনালী আঁশ পাট থেকে অনেক কিছুই তৈরি করা সম্ভব। 

পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এমডি নুরুল ইসলাম বলেন, পাট একটা বিকল্প পদ্ধতি, যেটা থেকে ব্যাপকহারে পাল্প এবং পেপার তৈরি করা যায়। পাট দিয়ে কারেন্সি পেপার থেকে সব ধরনের পেপার তৈরি করা যাবে।

পাটখড়ির কয়লায় তৈরি কম্পিউটার প্রিন্টার ও ফটোকপিয়ার মেশিনের কালি, ট্যাবলেটের বাইন্ডার সিএমসি, পাট ও রেশমের সংমিশ্রণে তৈরি উন্নতমানের সূতা শিগগিরই যুক্ত হতে যাচ্ছে পাটপণ্যের বহরে। 

মহাপরিচালক আইয়ুব খান বলেন, ‘প্যারাসিটামলের কথা যদি বলি, ৫০০ এমজি প্যারাসিটামলে অ্যাকটিভিনগ্রিডেন পরিমাণ খুব কম এখানে কিন্তু সেলেলুস ব্যবহার করা হয়। হয়তো এটা আটা থেকে আসে বা অন্য কোন সোর্স থেকে আসে। ওটাও আসলে সেলুলেস অর্থাৎ কার্বোডাইড্রেট, আর জুট থেকে যেটা আসবে সেটা সেলুলেস।’

নতুন পণ্যগুলোকে যুগান্তকারী উদ্ভাবন হিসেবে দেখছেন পাট পণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্রের কর্মকর্তারা। আন্তর্জাতিক অঙ্গণে এসব পাটজাতপণ্য ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে আশা তাদের।  

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী পরিচালক (জেডিপিসি) আবুল কালাম বলেন, ‘পাটের গবেষণার অনেক কাজ চলছে। বর্তমানে অনেকগুলো প্রজেক্ট বিজিআরইতে চলমান আছে। সারাদেশে যে পরিমাণ পাঠখড়ি আছে সবগুলো যদি আমরা প্রসেস করতে পারি তাহলে রফতানির পরিমাণ বহুগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব।’

এদিকে, পানি ছাড়া পাটের আঁশ আলাদা করার প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও সফলতার দ্বারপ্রান্তে বিজ্ঞানিরা। এসব উদ্ভাবন ও পণ্যের বহুমুখীকরণের মাধ্যমে আবারও পাটের সোনালী দিন ফিরবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। 

মহাপরিচালক আইয়ুব খান আরও বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় একটা সমস্যা হলো পানির অভাবে পাট পচানো। 

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি