পুলিশের ‘লাঠিপেটায়’ ৩৮ জবি শিক্ষার্থী-সাংবাদিক আহত
প্রকাশিত : ১৯:১৯, ১৪ মে ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারসেল হামলায় অন্তত ৩৮ জন আহত হয়েছেন। তারা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেকে) চিকিৎসা নিয়েছেন।
বুধবার (১৪ মে) দুপুরে আহত হয়ে তারা আহত ঢামেকে চিকিৎসা নিতে আসেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
আহতরা হলেন, আকিব (২১), আরিফ (২২), রেদোওয়ান (২৪), আসিফ (২০), রহমান (২২), রফিক (২৫), শফিক (২৫), ওমর ফারুক(২৪), অর্থিব (২১), আপেল (২১), মুজাহিদ (২৩), রায়হান (২৩), ফারুক(২৩), আবু বক্কর (২২), নিউটন (২০), হানিফ (২২), জীবন (২২), শহীদ(২০), রাসেল (২২), জিসান(২২), জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা পোস্ট এর মাহাতাব লিমন (২৩), শহীদ (২৪), মোহন(২২), সোহানুর রহমান সানি(২৪), মাছুমা (২০), সংগ্রাম (২০), বাইতুল (২২), রাজু (২২), রাসেল (২৩), গৌরব (২৫), আব্দুল মান্নান (২২), নাহিদ (২৩), জুয়েল (২৩), সুমন (২২), বাংলা ট্রিবিউনের জবি প্রেসক্লাব সভাপতি আসাইফ আশরাফ (২৬), রাজীব (২২), আকাশ (২২) এবং দৈনিক সংবাদের মেহেদী হাসান (২৪)।
আহতরা বলেন, জবি থেকে মিছিলটি নিয়ে কাকরাইল এলাকায় পৌঁছালে সেখানে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হই। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের উপর। এতে তাদের প্রায় অর্ধশত আহত হয়।
জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব লিমন বলেন, আমরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করি। মিছিল নিয়ে যমুনার অভিমুখে লংমার্চে যাওয়ার সময় পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করে। লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর এবং বেশ কয়েকজনের হাত ভেঙে গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, শিক্ষার্থীরা আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর আছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাস থেকে ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি শুরু করেন জবি শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার তিন দফা দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা হলো–
১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন।
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন।
এসএস//
আরও পড়ুন