ঢাকা, শনিবার   ১৮ অক্টোবর ২০২৫

প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই: মির্জা ফখরুল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৪০, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণের রায় নিয়ে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে কোনো দ্বিধা দ্বন্দ্ব নেই বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গত ১০ অক্টোবর রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান বিএনপির মহাসচিব। সাক্ষাৎকারটি আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) প্রকাশিত হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদানের ফলে নিজস্ব অভিজ্ঞতা, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশকে বিশ্ব সম্প্রদায় কীভাবে দেখে, আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির প্রস্তুতি ও প্রার্থী বাছাই, জোট, ইশতেহার, জুলাই সনদ, দেশে বিদ্যমান মূল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় বিএনপির কৌশল সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলেছেন মির্জা ফখরুল।

পাশাপাশি বিভিন্ন দলের গণভোটের দাবির বিপরীতে বিএনপির অবস্থান, জামায়াত ও ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক ও কৌশল, আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনীতি, আগামী নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ ও প্রচারণা এবং তারেক রহমানের দেশে ফেরা সহ বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে বিএনপির মহাসচিবের কথোপকথনে।

বাসসের পক্ষ থেকে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, বেগম খালেদা জিয়া আগামীতে নির্বাচনী প্রচারণায় নামবেন কিনা?

জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সেটা তো সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করবে। যেহেতু তিনি আমাদের চেয়ারপার্সন, তিনি হচ্ছেন লিজেন্ডারি লিডার। সে কারণে তিনি নির্বাচনে প্রচারণাতে নামেন, এমনটা যদি হয়, সেটা বিএনপির জন্য একটা বিরাট একটা প্লাস পয়েন্ট হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা কবে নাগাদ? কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নিরাপত্তার ঝুঁকি দেখি না তবে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দলীয় দাবি। তাছাড়া তার বিভিন্ন বিষয়গুলো তো আমাদের দেখতে হবে পার্টি হিসেবে। এখানে তার আবাসন— কারণ তার তো কোনো বাড়ি নেই এখানে। চেয়ারম্যান অফ এ পার্টি, তার একটা বাড়ি দরকার হচ্ছে। অ্যাট দ্য সেম টাইম তার অফিস ঠিক করা দরকার। তার জন্য গাড়ি ঠিক করা হচ্ছে। কিছু সময় লাগছে। মোটামুটিভাবে তো তৈরি হয়ে আসছে সব, খুব শীঘ্রই আসছেন।

বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে কে হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী? এর জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া যদি সুস্থ থাকেন এবং কাজ করার উপযোগী থাকেন, তাহলে তো তিনি হবেন। তার অনুপস্থিতিতে আমাদের চেয়ারম্যান তারেক রহমান হবেন। এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত বা দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই।

বাসসের প্রশ্ন ছিল, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে একসময় বিএনপির খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিল বা একসময় জোট ছিল। এখন সম্পর্কের দূরত্ব কী নিয়ে?

মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনীতিতে পার্মানেন্ট জোট বলতে কিছু থাকে না, পার্মানেন্ট বন্ধুত্ব বলতে কিছু থাকে না। একেকটা সময় রাজনীতির বিভিন্ন পারিপার্শ্বিকতার ওপর নির্ভর করে যে, তার রাজনৈতিক মিত্র কে হবে, অথবা কে হবে না। অ্যালায়েন্স হয় এবং নির্বাচনের সময় কোয়ালিশনস হয়। তো সেটা আগে ছিল। এই মুহূর্তে সেটা দৃশ্যমান নয়। মতের মিল না হলে এটা তো হতেই পারে। অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাছাড়া সম্পর্ক খারাপ কই? একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আরেকটি রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক যেমন থাকা উচিৎ জামায়াতের সঙ্গেও বিএনপির তেমনই আছে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি