প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে জরুরি সভা ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
প্রকাশিত : ১০:১৮, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে এবারই প্রথমবারের মতো সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে জরুরি সমন্বয় সভা ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সভায় তিন মন্ত্রীসহ সাতজন সচিবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক) চৌধুরী মুফাদ আহমেদ জানান, পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের সঙ্গে একাধিক মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত থাকায় আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয় ছাড়া প্রশ্নফাঁস ঠেকানো সম্ভব নয়। তাই আগামী পরীক্ষাগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতেই এই সভা ডাকা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা আরও জানান, বোর্ড থেকে প্রশ্ন তৈরি করে বিজি প্রেসে ছাপাতে পাঠানো হয়। ফলে সেখান থেকে ফাঁস হলে তার দায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের। কারণ বিজি প্রেস জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন। আর বিজি প্রেস থেকে প্রশ্ন ছাপিয়ে ট্রেজারিতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ফাঁস হলে এর দায় মাঠ প্রশাসনের। কারণ মাঠ প্রশাসন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে তা ঠেকানোর দায়িত্ব আইসিটি মন্ত্রণালয়ের। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয় ছাড়া তাই প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রায় ধারবাহিকভাবে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণাসহ নানা উদ্যোগ নিলেও প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানো সম্ভব হয়নি। বরং পরীক্ষা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত ‘প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই কমিটিও প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পেয়েছে। আগামী ২ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়েও চরম আতঙ্কে রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ অবস্থায় প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানোর কৌশল বের করতেই সভাটি ডাকা হয়েছে বলে জানা গেছে।
একে// এমজে
আরও পড়ুন