ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কলেজছাত্রীকে ছুরিকাঘাত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৩৬, ৮ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১০:০৬, ৯ জুলাই ২০১৭

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সোনিয়া আক্তার (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে জখম করেছে এক বখাটে। আজ শনিবার বিকেল চারটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কালীবাড়ির মোড়ের জে এন ডেন্টাল পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের মলাই মিয়ার মেয়ে সোনিয়া। তিনি সদর উপজেলার চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। সোনিয়া ওই ডেন্টাল পয়েন্টে অফিস সহকারী হিসেবে চাকরি করেন। ঘটনার পর থেকে বখাটে তানভির  পলাতক  রয়েছে।

আহত ছাত্রীর পরিবার, ডেন্টাল পয়েন্ট ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহরের পীরবাড়ি এলাকার তানভির রহমান কয়েক মাস ধরে কলেজে আসা-যাওয়ার পথে সোনিয়াকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মোবাইল সোনিয়াকে ফোন করে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এরপর সোনিয়া তানভিরের বাবা-মায়ের কাছে বিচার দেন।

প্রতিদিনের মতোই আজ শনিবার কলেজ শেষে বেলা তিনটার দিকে শহরের কালীবাড়ি মোড়ে জে এন ডেন্টাল পয়েন্টে কাজে যায় সোনিয়া। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের দাঁতের চিকিৎসক নাফিসা আলমের ব্যক্তিগত ক্লিনিক খুলে রোগীদের সিরিয়াল লিখতে বসেন। এ সময় তানভির সেখানে যান। কেন তাঁর বাবা-মায়ের কাছে বিচার দেওয়া হলো তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সোনিয়াকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান তানভির।

ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন সোনিয়াকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

সোনিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানান, তার হাত ও মুখে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোনিয়া আক্তার বলেন, বিয়ের প্রস্তাবের বিষয় সম্পর্কে তার বাবা-মায়ের কাছে বিচার দেওয়ায় এবং মুঠোফোনে কথাবার্তার রেকর্ডিংটি তানভিরের এক বোনকে দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তানভির। আজ বিকেলে ওই ডেন্টাল ক্লিনিকে ঢুকে কেন বিচার দিলাম এই কথা বলেই তানভির আমাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে।

জে এন ডেন্টাল পয়েন্টের স্বত্বাধিকারী নাফিসা আলম বলেন, ‘কয়েক দিন আগে থেকেই সোনিয়া আমার এখানে কাজ করতে আসা শুরু করে। গতকাল বিকেলে আমি বাসায় ছিলাম। এক বখাটে ক্লিনিকের ভেতরে ঢুকে সোনিয়াকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেছে বলে পরে জানতে পেরেছি।’

বখাটে তানভিরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন জানান, সন্ধ্যায় মেয়ের বাবা মলাই মিয়া বাদী হয়ে তানভিরকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি