প্লাস্টিক অবশ্যই নিয়ন্ত্রন করতে হবে: শাহাব উদ্দিন
প্রকাশিত : ২১:১১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

প্লাস্টিক ব্যবহার দেশ ও জাতির জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।তাই যেভাবেই হোক এটা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
আজ বুধবার রাজধানীর একটি অভিযাত হোটেলে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।পরিবেশ অধিদপ্তর, বিশ্বব্যাংক, দেশীয় ও বহুজাতিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে ‘সাসটেইনেবল ম্যানেজমেন্ট অব প্লাস্টিক টু লেভারেজ সার্কুলার ইকোনমি অ্যান্ড অ্যাসিভ এসডিজি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন আরো বলেন, পলিথিন ব্যবহার সম্পর্কে গ্রামের মানুষ জানতো না। আমরাই তাদেরকে এর ব্যবহার করা শিখিয়েছি। ইতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে গ্রামের মানুষের হাতে এটা তুলে দিয়েছি।তাই আজ পলিথিনের ব্যবহার পুরো জাতির জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।এ ক্ষতির জন্য আমরাই দায়ী। আমরা দায়ী হলেও আমরাই আবার এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের কথা বলছি।
তাই আমাদের উচিত হবে এ ধরণের নতুন কিছুর ব্যবহার জাতির সামনে তুলে ধরার আগে এর ক্ষতিকর দিক নিয়ে গবেষণা করা।তারপর এটি ব্যবহারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
তিনি বলেন, পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধের আইন কার্যকর করার লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বিভিন্ন উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধ ও শপিং ব্যাগ জব্দ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের অবাধ ব্যবহার বন্ধে ২০০৯ হতে এ পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৮ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে ও ৮৭৬.২১ টন পলিথিন জব্দ করা হয়েছে এবং ৪৭ টি অবৈধ পলিথিন কারখানা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, একই মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ওসিয়ান গভার্নেন্স (আইসিওজি)’র পরিচালক প্রফেসর কাওসার আহমেদ প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, প্লাস্টিক একবারে বন্ধ হবে না।এটা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে হবে।তবে কমানোর জন্য সবার মাঝে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ওসিয়ান গভার্নেন্স (আইসিওজি)’র পরিচালক প্রফেসর কাওসার আহমেদ বলেন, প্লাস্টিক পণ্য আমাদের জীব বৈচিত্রকে এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে যে এর থেকে সমুদ্রের ছোট প্রাণীটাও রক্ষা পাচ্ছে না।সমুদ্রের অনেক মৃত প্রাণীর পেট চিরে দেখা যাচ্ছে প্লস্টিক।কারণ প্লাস্টিক খেয়ে সে আর সেটা হজমি করতে না পেরে মারা গেছে। সেই মাছ খেয়ে আমরা মানুষও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছি।
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ বলেন, আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে ডাম্পিং এলাকার ৫০ফিট মাটির নিচেও পলিথিন আছে। এটা আমাদের জন্য খুবই ভীতিকর।তবে আশার কথা হলো-জামালপুরে প্রতিদিন প্রাই ৫০০ কেজি পলিথিন ফুয়েলে পরিণত করা হচ্ছে।আমাদের উচিত হবে একটু বেশিদাম হলেও বাজারে পলিথিনের বিকল্প পণ্যটি ক্রয় করা।
আরকে//
আরও পড়ুন