ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফেব্রুয়ারিতে হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত জেসিসি বৈঠক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০৬, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ২০:৩০, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯

আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার পঞ্চম জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের এটিই হবে প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। জেসিসি বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব বিষয় আলোচনায় নিয়ে আসার কথা থাকলেও তিস্তা নদীর পানিবণ্টন ইস্যুটি এতে স্থান পাচ্ছে না। দুই দেশের পানিসম্পদমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠকে আলোচনার জন্য উঠিয়ে রাখা হচ্ছে এটি। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ-ভারত পঞ্চম জেসিসি বৈঠককে সামনে রেখে গতকাল দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম শহিদুল হকের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ছাড়াও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, ভারতের সাধারণ নির্বাচনের আগেই ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দিল্লিতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। আর ভারতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এবারের বৈঠকটি যেহেতু দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, ফলে নিয়ম অনুযায়ী বৈঠকের আলোচ্যসূচি চূড়ান্ত করবে ভারত। প্রথমে তারা একটি খসড়া আলোচ্যসূচি পাঠাবে এবং বাংলাদেশের মতামত চাইবে। বাংলাদেশের মতামতের পর পরবর্তী সময়ে তা চূড়ান্ত করা হবে। এজন্য বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সব ইস্যুতে প্রস্তুতি রাখছে। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকেও এসব বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেন, সাধারণত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সব ইস্যুতেই আলোচনা হয়। এখানেও তাই হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিদ্যমান শতাধিক চুক্তির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে এবারের

বৈঠকে। শুধু চুক্তি নয়, এর বাস্তবায়ন এবং বাস্তবায়নের সমস্যাগুলোও থাকবে আলোচনায়। তবে কোন ইস্যুটি সামনে আসবে তা ভারতের পাঠানো আলোচ্যসূচির ওপর নির্ভর করছে।

তিস্তা নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৈঠকে তিস্তা নিয়ে আলোচনায় বলা হয়েছে, আগামীতে যৌথ নদী কমিশনের পানিসম্পদমন্ত্রী পর্যায়ের যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে বিষয়টি তোলা হবে। ৩৭তম জেআরসির বৈঠকে তিস্তা নিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল। ফলে জেআরসি বৈঠকেই তিস্তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও ভারতের পানিসম্পদমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ নদী কমিশনের সর্বশেষ ৩৭তম বৈঠকটি হয়েছিল ২০১০ সালের ১৮ ও ১৯ মার্চ। পরবর্তী বৈঠকটি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও গত ছয় বছর ধরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি।

আরকে/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি