ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪

বনানীতে ধর্ষণ : সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিচার শুরু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৩১, ১৩ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৩৩, ১৩ জুলাই ২০১৭

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় সাফাত আহমেদ ও তার দুই বন্ধুসহ পাঁচজনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ সফিউল আজম বৃহস্পতিবার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ২৪ জুলাই দিন ঠিক করে দেন।

আসামিরা হলেন- সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী।

অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য তাদের সবাইকে এদিন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।  

আসামীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুর রহমান হাওলাদার, কাজী মোহাম্মদ নজিবুল্লা হিরু, মাহবুব আহমেদ ও খায়রুল ইসলাম লিটন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আদালতের বিশেষ কৌঁসুলি আলী আকবর।

এর আগে এই মামলার পাঁচ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। তার আগে তাদের আইনজীবীরা মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে আবেদন করলে তা খারিজ করে দেন আদালত।

গত ৯ জুলাই এই মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন আসামিপক্ষ আদালতের কাছে সময়ের আবেদন জানায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক শফিউল আজম আজ বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে গত ২৮ মার্চ রাতে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া দুই তরুণীকে ধর্ষণ করেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে শাফাত আহমেদ ও তাঁর বন্ধু নাঈম আশরাফ।

এ ঘটনায় গত ৮ জুন শাফাত আহমেদ, তার বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে আবদুল হালিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। অপর তিন আসামি হলেন শাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ, গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও তাঁর দেহরক্ষী রহমত আলী।

এর আগে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া দুই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন, সে ব্যাপারে জবানবন্দি দেন শাফাত আহমেদ। আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে শাফাত বলেন, ধর্ষণের ঘটনার পর ভয় পেয়ে তিনি তার বন্ধু সাদমান সাকিফকে ফোন করেন। পরে তিনি এই জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেন। তাতে উল্লেখ করেন, স্বেচ্ছায় তিনি জবানবন্দি দেননি। ভয় ও চাপের মুখে দোষ স্বীকারে বাধ্য হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। একইভাবে নাঈম আশরাফও আদালতে দেওয়া জবানবন্দি প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। তিনিও আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

আর/ডব্লিউএন

 

 


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি