কয়েক দফা বন্যায় দশ জেলায় পুকুর ও মাছের খামার ক্ষতিগ্রস্ত (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:২১, ১৪ আগস্ট ২০২০
কয়েক দফা বন্যায় রংপুর ও সিলেট বিভাগের ৫ জেলাসহ দশ জেলায় কমপক্ষে ২২ হাজার ৪৮২টি পুকুর ও মাছের খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশিরভাগ পুকুর বা খামারের মাছই সম্পূর্ণ ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষীরা চিন্তিত তাদের ভবিষ্যত নিয়ে। পানি কমেছে, জেগে ওঠেছে পুকুর বা খামারের সীমানা। তবে জলে মাছেদের দাপাদাপি কমে গেছে। খাবার দিলেও আগের মতো ঝাঁক ধরে খেতে আসে না। বেশিরভাগ মাছ ভেসে গেছে নদীনালা, খালবিলে।
বন্যায় মাছের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে টাঙ্গাইলে। জেলার অন্তত ৫ হাজার ২২৭টি পুকুর, জলাশয় বা মৎস্য খামারের মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া, নেত্রকোণায় ৪ হাজার ১৬৪, সিলেটে তিন দফা বন্যায় ১ হাজার ১শ’, সুনামগঞ্জে ৩ হাজার ৮১, জামালপুরে ৪ হাজার ৭৬৮, সিরাজগঞ্জে ৫৭৪, গাইবান্ধায় ৯০৫, রাজবাড়ীতে ৪শ’, কুড়িগ্রামে ২ হাজার ও লালমণিরহাটে অন্তত ২৬৩টি পুকুর বা খামারের মাছ ভেসে গেছে। ঋণ করে মাছের চাষ করে অনেক মাছচাষী এখন সর্বস্বান্ত।
মৎস চাষিরা জানায় এবারের বন্যায় তার পুকুর মাছ শূন্য হয়ে যাওয়ায় সে নি:স্ব হয়ে গেছে, মাছ চাষের জন্য ঋণ করা টাকাও শোধ করতে পারছেন না। ক্ষতিগ্রস্ত খামারীদের সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন। আর ক্ষতি পোষাতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তারা।
টাঙ্গাইল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এম ডি গোলাম কিবরিয়ায় বলেন, তিন চারটা ক্যাটাগরিতে ক্ষতির পরিমাণটা তাদেরকে জানাতে হবে।
নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান জানান, যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদেরকে সহায়তা করা হয়েছে। ঋণ বা সুদ মওকুফ এবং সহজশর্তে নতুন ঋণ দেয়ার দাবি জানান মৎস্য চাষীরা।
এসইউএ/এমবি
আরও পড়ুন