ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪

বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ঐতিহাসিক

প্রকাশিত : ১২:১৫, ৭ অক্টোবর ২০১৬ | আপডেট: ১২:১৫, ৭ অক্টোবর ২০১৬

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। ১৪০৫ সালে ইউনান প্রদেশের তখনকার সম্রাট ইয়াং লে তার একজন প্রতিনিধি পাঠান এ অঞ্চলে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীন সফর করেন ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে। এমনকি স্বাধীনতার পরও তিনি কুটনীতিক পাঠান বেইজিং-এ। এমনকি বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তিনবার চীন সফর করেছেন। ইতিহাস বলছে, বর্তমান এ ভূখন্ডের ধর্মগুরু অতীশ দীপংকর হাজার বছর আগে চীনের তিব্বতে গিয়েছিলেন ধর্ম প্রচারের জন্য। অন্যদিকে, চীনের তরফেও চতুর্দশ শতাব্দির একেবারে গোড়ার দিকে ইউনান প্রদেশের তখনকার সম্রাট ইয়াংও গৌড়ের স্বাধীন সুলতানের সময়ে তিনি বাংলাদেশ ভূখন্ড সফর করেন। তারই ধারাবাহিকতায় পঞ্চাশের দশকে দ’ুবার বঙ্গবন্ধু সফর করেন চীন। স্বাধীনতার পরও শেখ মুজিব দু'দেশের কুটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে উদ্যোগি হন। এরপর নব্বই এর দশকে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো জোরদার হয় শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহনের মাত্র ৩ মাসের মাথায় চীন সফর করার পর। সে সফরকালে চীনের সঙ্গে সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক বিষয়ে বেশ ক'টি চুক্তি সম্পাদিত হয়। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এ পথ ধরে ২০০২ সালের ১৩ জানুয়ারি চীনের তখনকার প্রধানমন্ত্রী জু রং চি ৩ দিনের সরকারি সফরে আসেন বাংলাদেশে। স্বাক্ষরিত হয় ৭টি সমঝোতা স্মারক। ২০১৪ সালে আবারো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে যান। সেসময় প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ জানান চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং কে। শি জিনপিং চীনের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলাদেশ সফর করছেন; বিশ্ব অর্থনৈতিক রাজনীতির সাম্প্রতিক সময়ে এই সফরকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি