বাঙালির মুক্তির মাস ডিসেম্বর শুরু
প্রকাশিত : ০৯:১৪, ১ ডিসেম্বর ২০২৩

বাঙালির মুক্তির মাস ডিসেম্বর। সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে ডিসেম্বরের শুরুতে আভাস মিলেছিল চূড়ান্ত বিজয়ের। তার আগে বিশ্ব গণমাধ্যমে একে একে উঠে আসে গণহত্যার খবর।
দখলদার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বীরবাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকি দোসরদের বিরুদ্ধে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চে শুরু হওয়া যুদ্ধের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল বাংলাজুড়ে।
রাইফেল, স্টেনগান আর আধুনিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে বাঁশের লাঠি আর মনোবল ছিল বাঙালির অপরাজেয় শক্তি। যুদ্ধদিনের আরেক বীজমন্ত্র ছিল জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অসীম সাহস দেখে ক্রমশ পিছু হঠতে থাকে পাকবাহিনী।
একে একে শক্রমুক্ত হয় বিভিন্ন এলাকা। ডিসেম্বরের সম্মুখ সমরে ধরাশায়ি হতে শুরু করে পাকবাহিনীর ঘাঁটিগুলো।
মাইন বিস্ফোরণে পাকিস্তানের সৈন্যবাহী ট্রেন বিধ্বস্ত করে দেয় মুক্তিবাহিনী। কামান সরিয়ে ফেলে শত্রুপক্ষের বকিরা কোনোমতে প্রাণে বাঁচে। এ দিন মুক্তিবাহিনীর হাতে নিহত হয় কয়েকশ’র মতো পাকি সৈন্য।
সিলেট, কুষ্টিয়া, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, জামালপুর, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী অগ্রসর হতে থাকে ঢাকার দিকে।
বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যম বীরবাঙালির যুদ্ধকৌশল নিয়ে একের পর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে থাকে। ভারতীয় সেনাবাহিনী পূর্ব ও পশ্চিম ফ্রন্টে আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তানী সৈন্যদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ক্রশশ: মনোবল হারায় পাকবাহিনী।
ভারতীয় সৈন্যদের সঙ্গে মিলে পাক সৈন্যদের ৪টি বিমান ধ্বংশ করে দেয় মিত্রবাহিনী। সম্মুখযুদ্ধে এই বীরত্বপূণ দিনটিকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসাবে পালন করে বীরবাঙালি।
এসবি/
আরও পড়ুন