ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে কোন খাবার?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৬, ৩০ নভেম্বর ২০২১

বাড়ন্ত বাচ্চাদের সঠিক বিকাশের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু অনেক বাচ্চাই শাক-সবজি খেতে ভালোবাসে না। তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য সঠিক খাওয়া-দাওয়া অত্যন্ত জরুরি। পুষ্টিকর উপাদানের মাধ্যমেই তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। তাই আজকালকার পাস্তা পিজ্জার যুগে এমন কয়েকটি খাবার সন্তানের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন, যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্ত-সবল অবস্থায় থাকে।

এখানে এমন কিছু খাবার সম্পর্কে উল্লেখ করা হল যা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে পারে।

হাড় মজবুত করার জন্য দুধ আবশ্যকীয় একটি পানীয়। দুধে উপস্থিত ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অনেক বাচ্চাই দুধ খেতে চায় না। এমন হলে নানান ধরনের মিল্কশেক বানিয়ে দিতে পারেন। 

ক্যালশিয়াম ও প্রোটিনে ভরপুর দই বাচ্চাদের দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে। এমনকি সুষ্ঠু ভাবে খাবার হজম করতেও সাহায্য করে। সে ক্ষেত্রে টাটকা ফল, যেমন-আপেল, আঙ্গুর কিংবা কলা ছোট ছোট করে কেটে দই এর সঙ্গে দেওয়া যেতে পারে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে বাচ্চাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ৪৫ থেকে ৫৫ গ্রাম প্রোটিন থাকা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য প্রতিদিন একটি করে ডিম দেওয়া যেতে পারে। এতে প্রোটিনের জোগান পূর্ণ হয়। 

এ ছাড়াও ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ থাকে। পাশাপাশি ডিমে প্রচুর পরিমাণে কোলিন নামক পুষ্টিকর উপাদান থাকে, যা মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য জরুরি। ডিম সেদ্ধ করে বা অন্য কোনও ভাবে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। তবে সেদ্ধ ডিম বেশি স্বাস্থ্যকর। 

শাকসবজি খেতে পছন্দ করেনা বেশিরভাগ বাচ্চাই। সেই সবজি বা শাকটিই কিন্তু আয়রন, ক্যালশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ ও সি-র উল্লেখযোগ্য উৎস। বাচ্চাদের মানসিক বিকাশ ও মজবুত হাড়ের জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি। সে ক্ষেত্রে শাক-সবজি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পকোড়া বানিয়ে দিতে পারেন। 

ওটমিল ফাইবার সমৃদ্ধ, তাই এটিও দেওয়া যেতে পারে। ওটমিল ধীরে ধীরে হজম হয়। বাচ্চাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি সরবরাহও করে। দুধের সাথে ওটমিল, অথবা ওটসের বিস্কিটও বানিয়ে দিতে পারেন ঘরেই। 

ফাইবার, ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন এ তে সমৃদ্ধ লাল আলু অবশ্যই তাদের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করুন। ওভেন বা আগুনে সেঁকে অথবা সেদ্ধ করে বাচ্চাদের দিতে পারেন।

সাধারণ মাখনের তুলনায় পিনাট বাটার অধিক পুষ্টিকর। এতে আয়রন, প্রোটিন, ফাইবার ও ভিটামিন থাকে। ২ টেবিল চামচ পিনাট বাটারে প্রায় ২৮ শতাংশ প্রোটিন পাওয়া যায়।

সূত্র: এই সময়
এমএম/এসবি


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি