ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪

বালুখেকো চক্রের কবলে পদ্মাপাড় (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৫, ৮ নভেম্বর ২০২২

বালুখেকো চক্রের কবলে পদ্মাপাড়। রাজবাড়ীর চার উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন প্রভাবশালীরা। হুমকিতে নদীর তীর সুরক্ষা বাঁধ। নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে স্থানীয়দের বসতভিটা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সহায়-সম্পদ।

রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর তীরবর্তী অঞ্চল থেকে প্রভাবশালী একাধিক চক্র অবৈধভাবে উত্তোলন করছে বালু। হুমকির মুখে নদী-তীর সুরক্ষা বাঁধ। জেলার ৫ উপজেলার মধ্যে ৪টি পদ্মা সংলগ্ন হওয়ায় প্রতিবছরই ভাঙ্গনে ভিটেমাটি ও ফসলী জমি হারাচ্ছেন স্থানীয়রা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও বেড়ি বাঁধ।  

প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে এ অপকর্ম। সবচেয়ে বেশি হুমকিতে গোদারবাজার, উড়াকান্দা, দেবগ্রাম, দৌলতদিয়া ও উজানচরের মানুষ। প্রভাবশালী হওয়ায় বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারেন না ভুক্তভোগীরা। 

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "এখান দিয়ে একটা রাস্তাছিল, সেই রাস্তা তো ভাঙছেই, এখন বড় বড় চাপ নিয়ে ভাঙতেছে, এখন আমাদের বাড়ি পর্যন্ত চলে আসছে ভাঙন।" 

আরেকজন বলেন, "জমিজমা তো গেছেই এখন বাড়িঘরের অবস্থাও ভালোনা।" 

"বাড়িঘর তলায় যায়, ভেঙে পড়ে যায়, আমরা সাওয়াল পাওয়াল নিয়ে বাঁচতে পারিনা।" বলেন আরেক ভুক্তভোগী।" 

পানি উন্নয়ন বোর্ড- পাউবোর কর্মকর্তারা জানান, নদী-তীর সুরক্ষা বাঁধে বালু মহাল গড়ে ওঠায় বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দেয়। ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেয়া হয়েছে।  

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, "মালিকদের আমরা নোটিশ দিছি, সেই জায়গা থেকে বালু উত্তোলন সরায়ে দেওয়ার জন্যও মাইকিং করছি।"  

এদিকে, জেলা প্রশাসন বলছে, নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে ।  

জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, "আমরা মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করছি, মোবাইলকোর্ট অব্যাহত থাকবে এবং নিয়মিত মামলা করা হবে।" 

রাজবাড়ির একাধিক বালু-খেকো চক্র প্রতিবছরই পদ্মার বিভিন্ন স্থান থেকে বালু উত্তোলন করে আয় করছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। অবৈধ এসব ড্রেজিং বন্ধে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ চান করেন এলাকাবাসি।

এসবি/ 
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি