ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪

বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে ইসিকে নির্দেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৫৮, ৩১ অক্টোবর ২০১৮

সাত অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার দুপুরে বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মাদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পাশাপাশি দণ্ডিতরা পদে থাকতে পারবেন না— বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধনীতে বাদ দেওয়া এমন বিধান কেন বেআইনি ও সংবিধানের ৬৬ (ঘ)-এর পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবকে একমাসের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করায় রাজধানীর কাফরুলের বিএনপিকর্মী মোজাম্মেল হোসেন সংক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মমতাজ উদ্দিন মেহেদী।

তিনি জানান, এই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে ইসিকে আদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি বিএনপির দণ্ডিতদের সদস্যপদ স্থগিতের ধারা বিলুপ্ত করে আনা সংশোধনী কেন বেআইনি ও সংবিধানের ধারার পরিপন্থী হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন। সিইসি ও ইসি সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন মেহেদী বলেন, মোজাম্মেল হোসেনের দায়ের করা রিটে বলা হয়েছে, বিএনপির আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমি বিএনপিতে যোগ দেই। কিন্তু বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ অনুচ্ছেদ বাতিল করায় আমি সংক্ষুব্ধ। ওই অনুচ্ছেদে বলা ছিল, দুর্নীতিপরায়ণ কোনো ব্যক্তি বা দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত কোনো ব্যক্তি বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতৃত্বে আসতে পারবে না।

কিন্তু বিএনপি নেতারা চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন দুর্নীতর দায়ে দণ্ডিত হওয়ায় গঠনতন্ত্রের ৭ অনুচ্ছেদ বাতিল করে সংশোধনী আনে এবং সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দলীয় কাউন্সিলে গঠনতন্ত্রে কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সেই সংশোধনীসহ বিএনপির নতুন গঠনতন্ত্র চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি জমা দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনে। তাতে দেখা যায়, বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ ধারাটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে।

‘কমিটির সদস্যপদের অযোগ্যতা’ শিরোনামের ওই ধারায় বলা ছিল, ‘নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণ জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি বা যেকোনো পর্যায়ের যেকোনো নির্বাহী কমিটির সদস্যপদের কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে ‘অযোগ্য’ বলে বিবেচিত হবেন।

তারা হলেন- (ক) ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর ৮-এর বলে দণ্ডিত ব্যক্তি; (খ) দেউলিয়া; (গ) উন্মাদ বলে প্রমাণিত ব্যক্তি; (ঘ) সমাজে দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তি।

বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা বিলোপকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও মত দেন বিশ্লেষকরা। যদিও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই সংশোধনী নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলের শীর্ষ অনেক নেতাই বলেছেন, এই সংশোধনীর মাধ্যমে বিএনপি স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল হিসেবে প্রমাণ করলো নিজেদের।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি