ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪

বিচারিক আদালতে শ্যামল কান্তির ঘুষ গ্রহণের মামলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:২৯, ১৩ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ২১:১৬, ১৩ জুলাই ২০১৭

আমলি আদালত থেকে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের  বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি।

নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (আমলি) আফতাব উদ্দিন আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।

এক শিক্ষিকার চাকুরি এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আমলি আদালতে মামলার মামলা হয়।

বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দিয়েছেন শ্যামল কান্তি। হাজিরা শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে আছি। কারণ, আমাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। নিরাপত্তার কারণে তিন মেয়েকে বাড়িতে রাখতে পারছিনা না। তবে চাকরির কারণে আমরা স্বামী-স্ত্রী এখানে আছি।

শ্যামল কান্তির আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তার মক্কেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় শ্যামল কান্তি ২০ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে আছেন।

পরিকল্পিতভাবে স্কুল থেকে তাড়ানোর জন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে শ্যামল কান্তির অভিযোগ।

ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এনে গত বছর নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শ্যামল কান্তিকে সাংসদ সেলিম ওসমানের নির্দেশে শারীরিক নির্যাতন ও কান ধরে ওঠ-বস করানোর ঘটনা ঘটে। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে সারা দেশে তোলপাড় হয়।

ওই ঘটনার পর ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন বন্দরের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মোর্শেদা বেগম। তার অভিযোগ ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে চাকুরি এমপিওভুক্তিকরণের নামে তার কাছ থেকে ঘুষ নেন শ্যামল কান্তি। ওই মামলায় পুলিশ তদন্ত শেষে গত ২৪ মে শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ৩১ মে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে কারামুক্ত হন শ্যামল কান্তি।

ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি