বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে পশ্চিমবঙ্গে নিহত ৪
প্রকাশিত : ০৯:৫৫, ৯ জুন ২০১৯

তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় অন্তত চার জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলার সন্দেশখালি এলাকার ন্যাজাটে দলীয় পতাকা খোলাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
শুরুতে বিজেপি কর্মীরা কায়েম মোল্লা নামের ২৬ বছর বয়সী এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত কায়েম তাদের দলের সমর্থক বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও রাজ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
এদিকে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু দাবি করেছেন তৃণমূল কর্মীদের গুলিতে তাদের দলের পাঁচ কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিন জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে এবং বাকি দু’জনের মৃতদেহ পুলিশ সরিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ তার।
নিহত বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সুজিত মণ্ডল, তপন মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলের লাশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া তাদের চার কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাদের মধ্যে শঙ্কর মণ্ডল ও দেবদাস মণ্ডল নামে দু’জন নিহত হয়েছেন, এমন খবর তারা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন বসু।
তার অভিযোগ, নিহতের সংখ্যা কম দেখাতে পুলিশ ওই দু’জনের লাশ গুম করার চেষ্টা করছে।
তবে দেশটির পুলিশ সূত্রে সর্বশেষ বলা হয়েছে, বিজেপির দু’জন নিহত হয়েছেন। কিন্তু বিজেপি এ তথ্য প্রত্যাখান করেছে। তারা দাবি করছে, সুকান্ত মণ্ডল ও প্রদীপ মণ্ডলের চোখে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং তপন মণ্ডলের মাথায় গুলি করা হয়েছে। অন্য দিকে, শঙ্কর মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল ও সঞ্জয় মণ্ডল এবং তার জামাইবাবুর খোঁজ মিলছে না।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি মুকুল রায় জানিয়েছেন, পরিস্থিতি জানাতে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি সংঘর্ষের এ ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন।
প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম বঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। রাজ্যর ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৮টি নিজেদের অধিকারে নিয়েছে বিজেপি, অপরদিকে তৃণমূল পায় ২২টি আসন। এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনে রাজ্যের লোকসভা আসনগুলোর মধ্যে ৩৪টিতে জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস, আর বিজেপি জিতেছিল মাত্র দুইটি আসনে।
সূত্র : আনন্দবাজার ও এনডিটিভি
এসএ/
আরও পড়ুন