ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় রবি ঠাকুরের শান্তি নিকেতন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৪, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তি নিকেতন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ বা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় স্থান পেয়েছে। বিশ্বে এই প্রথমবার একটি সচল বিশ্ববিদ্যালয়কে ইউনেস্কো থেকে হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো। 

শান্তি নিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে নথিভুক্ত করতে সুপারিশ করেছিল ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের উপদেষ্টা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটস। 

চলতি মাসেই সৌদি আরবের রিয়াদে ৪৫তম বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির সভা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তি নিকেতনের নাম ঘোষণা করে ইউনেস্কো। 

শান্তি নিকেতন ছাড়া পৃথিবীতে আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই যেখানে ধারাবাহিকভাবে সাংস্কৃতিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।

১৮৬৩ সালে আশ্রম হিসেবে যাত্রা শুরু করে শান্তি নিকেতন। রায়পুরের জমিদার ভুবনমোহন সিনহার কাছ থেকে বিশ বিঘা জমি কিনে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এটি প্রতিষ্ঠা করেন। পশ্চিমবাংলার বীরভূম জেলার বোলপুরের কাছে এই আশ্রম অবস্থিত। 

১৮৮৮ সালে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত শান্তি নিকেতন ট্রাস্ট- একটি অতিথি ভবন, প্রার্থনা কক্ষ এবং ধর্মীয় সাহিত্যের জন্য নিবেদিত গ্রন্থাগারের সংস্থান করেছিলেন।

১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তি নিকেতন আশ্রমে শিশুদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। যা কালক্রমে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ নেয়। ১৯১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিশ্বভারতীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১৯২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিশ্বকবির উপস্থিতিতে বিশ্বভারতীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল। ১৯৫১ সালে একে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করে ভারত। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা শান্তি নিকেতন পুরো বিশ্বের কাছে পরিচিত।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি