বিয়ের আগে প্লাস্টিক সার্জারিতে বয়স লুকান মেলানিয়া

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিয়ের আগে ব্যক্তিগত তথ্য গোপন করেছিলেন মেলানিয়া ট্রাম্প। প্লাস্টিক সার্জারির কথা বলেননি। বলেননি আসল বয়স। মার্কিন  ফার্স্টলেডির এই গোপন তথ্য একটি বইয়ে প্রকাশ করেন ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক ম্যারি জর্ডান।

সাংবাদিক ম্যারি জর্ডানের নতুন একটি বইটি প্রকাশিত হওয়ার কথা সামনের সপ্তাহে। তার আগে ওই বইয়ের কিছু চৌম্বক অংশ নিয়ে পোস্টে লিখেছেন জর্ডান।

২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর হোয়াইট হাউজে যেতে বেশ সময় নিয়েছিলেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। কেন তিনি দেরি করে হোয়াইট হাউজে যান, সে বিষয়টিও বইয়ে উল্লেখ করেছেন জর্ডান।

সাংবাদিক জর্ডানের দাবি, ‘বিয়ের আগে ট্রাম্পের সঙ্গে মেলানিয়ার যে চুক্তি হয়েছিল সেটি পাকাপাকি না হওয়া পর্যন্ত তিনি হোয়াইট হাউজে যেতে চাননি।’

২৮৬ পৃষ্ঠার ‘দ্য আর্ট অব হার ডিল: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অব মেলানিয়া ট্রাম্প’ শিরোনামে এই বইয়ে মেলানিয়ার অজানা সব তথ্য তুলে ধরেছেন লেখক। এর সঙ্গে 
শতাধিক মানুষের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে বিব্রত হন মেলানিয়া। এই ধাক্কা সামলাতে সময় নেন তিনি। কিন্তু ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কয়েক জনের উদ্ধৃতি দিয়ে জর্ডান লিখেছেন, মেলানিয়া তার সংসারের একমাত্র সন্তান ব্যারনের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সময় নিয়েছিলেন। 

ব্যারনকে ট্রাম্পের পারিবারিক ব্যবসা থেকে বাদ দেয়া হবে না, এই নিশ্চয়তা পেয়েই তবে তিনি হোয়াইট হাউজে যান বলে বইয়ে দাবি করেছেন জর্ডান।

বইটিতে ট্রাম্পের প্রথম প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার বলেন, মেলানিয়া বহু ইস্যুতে নীরব থাকলেও এসবের নেপথ্যে তার ভূমিকা রয়েছে। মেলানিয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই 
কাজ করেন ট্রাম্প। কোনো ইস্যুতে স্ত্রীর মতামতই প্রেসিডেন্টের কাছে চূড়ান্ত।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মোট তিন বিয়ে-ইভানা ট্রাম্প, মারলা ম্যাপেলস এবং মেলানিয়া ট্রাম্প (বর্তমান স্ত্রী)। ইভানার সংসারে তার তিন সন্তান। ২০০৫ সালে মেলানিয়াকে  বিয়ে করেন ট্রাম্প। আর গত এপ্রিলে ৫০ বছর পূর্ণ করেন মেলানিয়া। 

এএইচ/