বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে রাহাত খানের দাফন সম্পন্ন
প্রকাশিত : ১৮:০৩, ২৯ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১৮:০৪, ২৯ আগস্ট ২০২০

সাহিত্যিক-সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা ও মুক্তবুদ্ধির চর্চার পথিকৃত রাহাত খানকে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে জানাযা শেষে মীরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সাহিত্যিক-সাংবাদিক রাহাত খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তার মরদেহ বারডেম হিমাগার থেকে আনা হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। শ্রদ্ধা জানান বিশিষ্টজনসহ সহকর্মি, ভক্ত অনুরাগিরা। জানাজার আগ মুহূর্তে তার জীবন ও কর্মজীবন সম্পর্কে মূল্যায়ন করেন সাংবাদিকরা। তারা বলেন, সাহিত্যে-সাংবাদিকতায় রাহাত খানের অবদানই তাকে স্মরণীয় করে রাখবে।
রাহাত খানের গৌরবোজ্জল জীবন নিয়ে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তুলে ধরেন দেশের জন্য তাঁর অবদান।
রাহাত খান ১৯৪০ সালে কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষে যোগ দেন শিক্ষকতা পেশায়। ১৯৬৯ সালে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন। দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক পরে বাসসের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয় রাহাত খানের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘অনিশ্চিত লোকালয়’। তার জনপ্রিয় উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে অমল ধবল চাকরি, মধ্য মাঠের খেলোয়াড়, এক প্রিয়দর্শিনী।
ছোটগল্প গ্রন্থ, প্রবন্ধ-নিবন্ধেও তিনি ছিলেন নিপুণ কারিগর। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমি এবং ১৯৯৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
উল্লেখ্য, প্রখ্যাত এই কথাসাহিত্যিক ৮০ বছর বয়সে শুক্রবার রাতে রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন রাহাত খান। করোনাকালে জটিল চিকিৎসা প্রক্রিয়া হওয়ায় তার সার্জারি করা যাচ্ছিল না বলে বাসাতেই অবস্থান করছিলেন গুণী এই সাংবাদিক।
এএইচ/এসি
আরও পড়ুন