ঢাকা, বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪

বৃহস্পতি গ্রহের বিস্ময়কর ছবি প্রকাশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৬, ২৪ আগস্ট ২০২২

সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতি। এই গ্রহের চোখধাঁধানো ছবি সামনে এনেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। যেমনটা এর আগে কখনো দেখা যায়নি।

সেই ছবি সোমবার প্রকাশ করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

নজিরবিহীন এই ছবিগুলো জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ জুলাই মাসে তুলেছে। বৃহস্পতির উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মেরুজ্যোতি (অরোরা), ঘূর্ণায়মান মেরু কুয়াশা ও জুপিটারের বড় লাল অংশটি (বিগ রেড স্পট) সুস্পষ্টভাবে দেখা যায়। এছাড়াও এতে এমন একটি ঝড়ের চিহ্ন দেখা গেছে, যা পুরো পৃথিবীকে গ্রাস করার জন্য যথেষ্ট।

সঙ্গে আরও অসংখ্য ছোট ছোট ঝড়ও দেখা গেছে ছবিটিতে।

গবেষকেরা বলেন, ছবিতে গ্রহটির মেরুপ্রভা (নর্দান ও সাউদার্ন লাইটস) ও ঘূর্ণমান মেরু কুয়াশা দৃষ্টিগোচর হয়। এর বাইরে গ্রহটির ছোট-বড় অনেক ঝড়ের দৃশ্যের পাশাপাশি পৃথিবীকে গ্রাস করে ফেলার মতো বৃহস্পতির বিশাল লাল বিন্দু (গ্রেট রেড স্পট) স্পষ্টভাবে দেখা যায়। একটি ছবিতে বৃহস্পতির চারপাশে প্রায় বিবর্ণ একটি বলয়ের পাশাপাশি দুটি ক্ষুদ্র চাঁদও দৃষ্টিগোচর হয়।

বিজ্ঞানীরা এই ছবিটিকে ‘নাটকীয়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

পর্যবেক্ষক দলের নেতৃত্ব দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রহ সংক্রান্ত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইমকে দে প্যাতার বলেন, “আমরা এর আগে কখনো জুপিটারকে এভাবে দেখিনি। সব মিলিয়ে বিষয়টি অবিশ্বাস্য। এটি এত ভালোভাবে দেখা যাবে, এটা আমরা আশা করিনি।”

মার্কিন-ফরাসি গবেষণা দলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতির ছবি ফুটিয়ে তুলতে ও গ্রহের বৈশিষ্ট্য বোঝানোর জন্য কৃত্রিমভাবে নীল, সাদা, সবুজ, হলুদ ও কমলা রঙে রাঙানো হয়।

হাবল স্পেস টেলিস্কোপটির উত্তরসূরি হিসেবে তৈরি জেমস ওয়েব টেলিস্কোপটি তৈরিতে ১০ বিলিয়ন মার্কন ডলার খরচ করে নাসা ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি। গত বছরের শেষ দিকে এটি মহাকাশে কার্যক্রম শুরু করে। গত গ্রীষ্ম থেকেই ইনফ্রারেড ক্যামেরা ব্যবহার করে মহাবিশ্ব পর্যবেক্ষণ করছে টেলিস্কোপটি। 

এটি পৃথিবী থেকে ১০ লাখ মাইল দূরে অবস্থিত।

বিজ্ঞানীদের প্রত্যাশা, এই টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সূচনালগ্নের রহস্যের সমাধান হবে। (সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসি)

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি