ব্লগার রাজীবের পরিবার মনে করে ২ আসামির চূড়ান্ত শাস্তি বহাল থাকবে
প্রকাশিত : ১৩:২২, ৪ জুন ২০১৭

ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি রেদওয়ানুল আজাদ রানা এবং ফয়সাল বিন নাঈমসহ ৮ আসামিই এখন কারাবন্দি। এর মধ্যে রানাকে মালয়েশিয়া থেকে ফেরত আনা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় এরই মধ্যে প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। রাজীবের পরিবার মনে করে, বিচারিক প্রক্রিয়ার শেষ ধাপগুলোতেও দুই আসামির চূড়ান্ত শাস্তি বহাল থাকবে।
ব্লগ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করে জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন রাজীব হায়দার। গণজাগরণ মঞ্চেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। এ’ কারণে হত্যার হুমকিও ছিল তার। ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারি পল্লবীর পলাশনগরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রাজীবকে।
চাঞ্চল্যকর এ’ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন নিষিদ্ধ আনসার আল ইসলাম নেতা রেদওয়ানুল আজাদ রানা। হত্যাকান্ডের এক বছরের মাথায় ২০১৪ সালের ১১ ফেব্র“য়ারি মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যায় সে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার টানা দু’বছর চেষ্টার পর মালয়েশিয়ায় স্পেশাল ব্রাঞ্চের সহযোগিতায় চলতি বছরের ফেব্র“য়ারিতে রানাকে ফিরিয়ে আনা হয়।
মালয়েশিয়ায় ইসলামিক স্টেট- আইএস নেতা ডক্টর মাহমুদ আহমেদের ঘনিষ্ট ছিল রানা। আফগানিস্তানে আল কায়েদার ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেয়া মাহমুদের সঙ্গে মিলে মালয়েশিয়ায় জঙ্গি হামলার পরিকল্পনাও করেছিল রানা। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ বছরের সাজা হওয়া বাংলাদেশি ছাত্র রিজওয়ানুল আহসান নাফিস, আইএস নেতা জুন্নুন শিকদারেরও ঘনিষ্ট ছিল সে।
রাজীব হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার বাবা নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে পল্লবী থানায় মামলা করেন। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রানা ও ফয়সালকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। আর অন্য ৫ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। এই মামলায় ২০১৬ সালের ৭ নভেম্বর হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল শুনানি শুরু হয়। চলতি বছরের ২ এপ্রিল হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রানা ও ফয়সালের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন দন্ডিতদের আইনজীবী।
বিচারের পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলোতেও আসামিদের শাস্তি বহাল থাকবে বলে আশা করছেন রাজীবের বাবা।
মুক্তমনা লেখক-ব্লগার হত্যায় জড়িত অন্য যারা বিদেশে পালিয়ে গেছে, তাদেরও ধরে এনে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানিয়েছেন রাজীবের বাবা নাজিম উদ্দিন।
আরও পড়ুন