ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪

ভরা মৌসুমেও পদ্মা-মেঘনায় ইলিশের আকাল (ভিডিও)

রত্না জামান

প্রকাশিত : ১১:২৭, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১১:৩৮, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২

ভরা মৌসুমেও পদ্মা-মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় ইলিশের আকাল। হতাশ জেলেদের দাবি, বিকল্প কর্মসংস্থানের। মূষলধারে বৃষ্টি ও পানিপ্রবাহ বাড়লে ইলিশ বাড়বে, জেলেদের জন্য আসছে নতুন প্রকল্পও- বলছে মৎস্য বিভাগ।

এই এলাকায় ইলিশ ধরেন ভোলার দুই লাখেরও বেশি জেলে। প্রতিদিন জাল ফেলে গুটিকয়েক মাছ নিয়েই ফিরতে হচ্ছে তীরে। খরচই উঠছে না, রয়েছে ঋণ পরিশোধের দুশ্চিন্তাও। 

মেঘনাপাড়ের ইলিশা, তুলাতুলিসহ অর্ধশতাধিক মৎস্যঘাটেও নেই ইলিশ বিক্রির তেমন হাক-ডাক। আড়ৎদাররা জানান, গত বছরের এ সময়ের তুলনায় ইলিশ রপ্তানি নেমেছে অর্ধেকরও নিচে। 

এ নিয়ে সেখানকার এক আড়ৎদার বলেন, ‘‘এখানে না পাওয়া গেলেও সাগরে কিছুটা ইলিশ পাওয়া যায়। সেজন্য আমাদের এখানের বড় জেলেরা মাছ ধরতে সাগরে চলে যায়। কিন্তু তেলের দাম বাড়তি হওয়ায় সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে তারা এখানে আসেনা।’’

তবে ভারি বৃষ্টি হলে নদীতে ইলিশ আসবে বলে আশাবাদী মৎস্যবিভাগ।

এ বিষয়ে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.এমদাদুল্লাহ বলেন, ‘‘ইলিশ আসবে, কিন্তু তাদের ডিম ছাড়ার জন্য সাদু পানিতে আসতে হবে। আমরা আশা করছি যে, সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই আমরা মেঘনা এবং তেতুলিয়া নদীতে আমাদের আশানুরূপ ইলিশ আমরা পাবো।’’

মাছ সঙ্কটে নিবন্ধিত ৪৪ হাজার ৩৫ জন জেলের জন্য নতুন প্রকল্প বরাদ্দের আশ্বাস দিয়ছে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান।

এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে ছাগল, গরু, ভ্যানগাড়ি, সেলাই মেশিনের ব্যাবস্থা করা হচ্ছে তাদের জন্য।’’

গতবারের দেড় হাজার মণের স্থলে দিনে মাত্র দুইশ মণ ইলিশ আসছে বরিশালের মোকামগুলোতে। এক কেজির বেশি ইলিশের দামও বেড়ে হাজার টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে ১৪শ থেকে ১৫শ টাকায়। 

নোয়াখালীর হাতিয়ার ৬১টি ঘাট থেকে সাগরে মাছ শিকারে যান লক্ষাধিক জেলে। এটিই মূল পেশা হওয়ায় ইলিশ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপনে দ্বীপের মানুষ। 

দফায় দফায় বৈরি আবহাওয়ার ধকলে দিশেহারা কুয়াকাটার জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরাও। 

এমএম/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি