ঢাকা, বুধবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৫

ভাসান চরকে সন্দ্বীপের সীমানায় অর্ন্তভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:২২, ২০ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ১৮:২৩, ২০ অক্টোবর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সাবেক নেমস্তি ইউনিয়ন বর্তমান ভাসান চরকে সন্দ্বীপের সীমানায় অর্ন্তভুক্তির দাবিতে ২০ অক্টোবর সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে সন্দ্বীপ সীমানা রক্ষা কমিটি, ঢাকা।

প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো সন্দ্বীপবাসী বাপ দাদার ভিটে মাটি রক্ষার দাবিতে  মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে সাবেক দায়রা জজ আবু সুফিয়ান বলেন,  `শত শত বছর ধরে সন্দ্বীপে নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে লাখ মানুষ এখনো গৃহহারা হয়ে বেড়ী বাঁধে মানবেতর জীবন যাপন করেছে। এই অবস্থায় সন্দ্বীপের প্রাক্তন নেমস্তি ও সুলতানপুরের সীমানায় চর জেগে উঠেছে যা কিছু দিন আগে ঠেঙ্গার চর নামে পরিচিতি ছিল। সরকার এটিকে ভাসান চর নামকরণ করেছে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে এটিকে কখনো হাতিয়া, আবার কখনো নোয়াখালী জেলার দাবি করছে। এ চরকে নোয়াখালী জেলার অর্ন্তভুক্ত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ জনমনে সৃষ্টি হয়েছে। দিয়ারা জরিপের মাধ্যমে আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।`

সীমানা রক্ষা কমিটির সমন্বয়ক নুরুল আকতার বলেন, ‘সরকার যখন যেভাবে প্রয়োজন এ চরের উন্নয়ন কিংবা ব্যাবহার করতে পারেন—  তাতে সন্দ্বীপবাসীর সমর্থন থাকবে। কিন্তু আমাদের বাপ দাদার ভিটে মাটি নিয়ে কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র সন্দ্বীপবাসী কখনো মেনে নিবে না। এই চর নিয়ে নোয়াখালী ও হাতিয়ার মালিকানা দাবির প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি সন্দ্বীপের নেমস্তি ও সুলতানপুর ইউনিয়ন। হাতিয়া অথবা নোয়াখালীর কোনো জনপদ সেখানে ছিল না। এছাড়া সরকারের কাছে আমাদের দাবি ভুমি জরিপের মাধ্যমে আমাদের হারানো ভূমি ফিরিয়ে দেয়া হোক।`

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, `এই চর সন্দ্বীপ থেকে মাত্র ৪ কি.মি আর হাতিয়া থেকে ২৫ কি.মি। তাছাড়া জেগে উঠার পর থেকে গত দশ বছর ধরে বনায়ন করেছে চট্টগ্রাম বন বিভাগ। তাহলে কীভাবে হাতিয়া এবং নোয়াখালী এটার দাবি করে? এটি আমাদের বাপ দাদার হারানো ভিটে মাটি। এই মাটির স্বার্থে আমরা জীবন দিতেও কুণ্ঠিত হবো না। তাই সন্দ্বীপের ৬০ মৌজার সীমানা দিয়ারা জরিপের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয়া হোক।`

সন্দ্বীপ সীমানা রক্ষা কমিটি ঢাকার আহ্বায়ক সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোশাররফ হোসেন খাদেমের সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন প্রফেসর দিদারুল আলম, সালেহা বেগম প্রকৌশলী আবদুল হান্নান, নুসরুল্লাহ চৌধুরি, মাইনুর রহমান, আজমত আলী বাহাদুর, সাগর শাহনেওয়াজ, মনিরুল হুদা বাবন, শাহনেয়াজ মাহমুদ লাভলু, আরিফ আলী, নিজাম উদ্দিন তালুকদার, কাজী মনজু, কাজী ইফতেখারুল আলম তারেক, আনোয়ারুল আজিম মনজুসহ প্রমুখ।

কেআই/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি