ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৭ জুলাই ২০২৫

‘ভাস্কর্য আছে, থাকবে এবং আরও স্থাপন করা হবে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:১৩, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

দেশে ভাস্কর্য আছে, থাকবে এবং আরও স্থাপন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি  আয়োজিত ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধ অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে   প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, ‘মৌলবাদীদের একটা কথা মনে রাখতে হবে আপনারা নারীদের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছেন। নারী অধিকারের বিরুদ্ধে আপনারা কথা বলেছেন। কোন অধিকারে আপনারা বলেন। আপনাদের মা কি নারী না? আপনার বোন কি নারী না? আমি নারীদের বলব আপনারাও আজ বের হয়ে আসেন। যে নারীরা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পুত্রহারা হবেন জেনেও পুত্রকে রণক্ষেত্রে পাঠিয়েছেন। বিধবা হবেন জেনেও নারীরা তাদের স্বামীকে রণক্ষেত্রে পাঠিয়েছেন। ধর্ষিত হবেন জেনেও নারীরা অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করেছেন। সে নারীরা কখনও মৌলবাদীদের এদেশে ঠাঁই দেবে না। ৩০ লাখ শহীদের রক্তেভেজা এই মাটিতে মৌলবাদীদের জায়গা হবে না। তাদের জায়গা হবে পাকিস্তানে। তাই পাকিস্তানের রাজাকার পাকিস্তানে ফিরে যা, না হলে তোদের জ্যান্তকবর রচনা করা হবে।’

বাংলাদেশ আর তলাবিহীন ঝুড়ি নেই। এখন বাংলাদেশের ঝুড়ি খাদ্যে পরিপূর্ণ  ভতি আছে। এখন কিন্তু কেউ আর খালি গায়ে, খালি পায়ে, খালি পেটে থাকে না। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আহ্বান জানাচ্ছি জেগে ওঠো শিশুগণ, জেগে ওঠো নতুন প্রজন্ম, রুখে দাঁড়াও নারীগণ। আজ যারা ওই ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলে, ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে তাদের কালোহাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও। তাদের আস্তানা ভেঙেচুড়ে বাংলাদেশ থেকে তাদের বিতাড়িত করে দাও। ভাস্কর্য আছে, ভাস্কর্য থাকবে, আরও ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে। কক্সবাজারে বালি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য কতে সুন্দর করে তৈরি করা হয়েছে।

শিশুদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয় একদিনে আসেনি। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচন ও ৭১’র বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠ। বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ, কী এক আত্মবিশ্বাস। নয় মাস সুদীর্ঘ যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয়। মা-বাবাদের বলছি আপনারা সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শেখান। স্বাধীনতান কথা বলেন, মূল্যবোধ-নৈতিকতার কথা বলেন। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় যারা বিজয়ী হয়েছেন সবাইতে অভিনন্দন জানাই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার বলেন, ‘আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল দেশ গঠনে আমরা অনেকদূর এগিয়ে, তাইতো আজ ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিভিন্ন স্থান থেকে সবাই অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হতে পেরেছেন। দেশ কিন্তু এখন আর পিছিয়ে নেই। আমাদের শিশুরা আগামী দিনের দেশ গড়ার কর্ণধার। তাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে। শিশুদের স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হতে হবে। তাহলেই তাদের হাত ধরে আগামীর বাংলাদেশ হবে আরও সমৃদ্ধ।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি