মধ্য রাত থেকে পদ্মা-মেঘনায় দু’মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৩১, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় মধ্য রাত থেকে দু’মাস সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ। ইলিশ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৬ সাল থেকে দেশের ৫টি অঞ্চলে এ কর্মসূচি চলে আসছে। এরইমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মৎস্য বিভাগ। আর মাছ ধরা বন্ধের এই সময়ে সহযোগিতা বাড়ানোর দাবি জেলেদের।
চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত একশ’ কিলোমিটার এলাকা; পদ্মা-মেঘনা নদীর এই এলাকায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দু’মাস সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধ।
জেলেরা বলছেন, কষ্ট হলেও নদীতে নামবেন না। তবে বিভিন্ন এনজিও ঋণের কিস্তি বন্ধ রাখা ও সরকারি সহায়তা না বাড়ালে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরা নিয়ে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও।
জেলেরা বলেন, শুধু চাল দিলে তো হবে না, কিছু অর্থেরও দরকার আছে। এই দু’মাসের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখলে আমাদের জন্য ভাল হত।
মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এরইমধ্যে বিভিন্ন স্থানে জনসচেতনতমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়েছে। কর্মসূচি সফল করতে জেলেদের সাথে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। এছাড়া প্রতিজন জেলের জন্য ৪০ কেজি করে চার কিস্তিতে ১শ’ ৬০ কেজি চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদি হাসান বলেন, “সরকারের খাদ্য সহায়তা ইতিমধ্যে তাদের জন্য বরাদ্দ প্রদান করেছি। অচিরেই এটা তাদের মাঝে পৌঁছানো হবে। তা বিতরণ হলে তারা নদীতে নামা থেকে বিরত থাকবেন বলে আশা আমাদের।”
সরকারি হিসেবে চাঁদপুরের হাইমচর, মতলব দক্ষিণ, মতলব উত্তর ও চাঁদপুর সদরে ৪৪ হাজার ৩৫ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। অভয়াশ্রম চলার সময় কেউ নদীতে জাল ফেললে ১ থেকে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
এএইচ/
আরও পড়ুন